মুক্তি পেল তিশা-ফারুকীর সিনেমা ‘অটোবায়োগ্রাফি’

যে সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার ক্যামেরার পেছন থেকে সামনে এলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সেটাকে বিশেষ বলাই যায়।তারপরও দিনশেষে সিনেমার ভালো-মন্দ নির্ভর করে গল্প ও অভিনয়ের ওপর। আর অভিনেতা হিসেবে ফারুকী উতরে গেছেন, তার আভাস মিলছে সিনেমার টিজার, ট্রেলার দেখার পর। এবার নতুন খবর হচ্ছে ৩০ নভেম্বর ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-এর প্রথম সিনেমা এটি।

চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এ পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজে নির্মাণ করেছেন দুটি সিনেমা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘মনোগামী’। এর মধ্যে গতকাল মিনিস্ট্রি অব লাভের প্রথম সিনেমা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি মুক্তি পেল।

অটোবায়োগ্রাফির গল্প প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, ‘নিজের সময়টার সাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিইবা করার আছে। আমরা এখানে সেটাই করার চেষ্টা করেছি। বাবা-মা হিসেবে আমরা বিশেষ কেউ না। সব বাবা-মায়ের গল্পই এক। সন্তানের জন্য সব বাবা-মায়েরই স্পেশাল ত্যাগের গল্প আছে, আনন্দের গল্প আছে, বিব্রতকর গল্প আছে, এ ছবি যদি তাদের সেই সব অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয়, তাহলেই আমরা খুশি হব।’

অটোবায়োগ্রাফি ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগের সঙ্গেই নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি ইলহাম হওয়ার পর আমার প্রথম কাজ। রাইটার হিসেবে আমার প্রথম লেখা। ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়—এ ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে। আর যেকোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল। তাই সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি আমার জন্য অনেক স্পেশাল।’ তিশার কথাতেই উঠে এল সিনেমাটিতে অনেকগুলো প্রথমের সমন্বয় ঘটেছে। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এ সিনেমা নিয়ে যদি আরো কিছু বলতে হয়, তাহলে আমি ছোট্ট করে বলব, সিনেমাটা হচ্ছে সব সন্তানের প্রতি তার মা-বাবার অনুভূতির উপহার।’

অভিনেত্রী তিথি আর তার ফিল্মমেকার হাজব্যান্ড ফারহানের পক্ষ থেকে তাদের সদ্যোজাত কন্যার উদ্দেশে লেখা লাভ লেটার ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। বাইরে থেকে দেখলে এটা সন্তানের দুনিয়ায় আগমন পর্যন্ত একপ্রকার দিনলিপি হলে, ভেতরে লুকিয়ে আছে ব্যক্তি থেকে সমাজ হয়ে রাষ্ট্রের নানা চেহারা। ৮২ মিনিটের অটোবায়োগ্রাফির গল্পটা এভাবেই সাজিয়েছেন ফারুকী ও তিশা।

সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফিতে ফারুকী-তিশার সঙ্গে আরো দেখা যাবে ইরেশ যাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, ডলি জহুরকে। বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ২৮তম আসরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অটোবায়োগ্রাফি সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। সেখানে দর্শকের প্রশংসা পেয়েছিল ওয়েব ফিল্মটি। অন্যদিকে মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘আইকনস: সাউথ এশিয়া’ বিভাগে অংশ নিয়েছে ফারুকীর এ ওয়েব ফিল্ম। এরই মধ্যে দুটি প্রদর্শনী হয়েছে। শো দুটি হাউজফুল ছিল বলে জানান ফারুকী।