মুজিব বায়োপিক হলে গিয়ে দেখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহুল প্রত্যাশিত বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা প্রিমিয়ার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় সিনেমাটি দেশবাসীকে হলে গিয়ে দেখার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। শুভমুক্তি শেষে চলচ্চিত্রটি দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় চলচ্চিত্রটির অভিনেতা, অভিনেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। এ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ইতিহাসের অনেক অজানা ঘটনা ও নতুন অধ্যায় জানতে পারবে জাতি।

তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি নির্মাণের শুরুতে কিছু বাধা এসেছিল, তবুও এটি শেষ হয়েছে। দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান, আপনারা এ সিনেমার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আমার পরিবার, মা-বাবা সম্পর্কে জানতে পারবেন। যে ইতিহাস কখনো শোনেননি, তাও উঠে এসেছে এ সিনেমায়।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতা এনেছেন। দেশ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আর ৭৫ এর পর ইতিহাস বিকৃতি শুরু। কিন্তু ইতিহাস কথা বলে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর ভিত্তি করে রচিত। তার জীবনের অনেক তথ্য জানতে পারবো। দেশবাসীর কাছে আহ্বান ইতিহাসের নতুন তথ্য পাবেন।

আমাদের পরিবারের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। এজন্য নরেন্দ্র মোদী, শ্যাম বেনেগালসহ কলাকুশলী, নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। চলচ্চিত্রে শুভ মুক্তি ঘোষণা করেন তিনি।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হওয়ায় ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব চির অটুট থাকুক, এমনটাই চাই।

এসময় প্রধানমন্ত্রী সিনেমাটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজনা সংস্থা, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ যারা সিনেমাটি নির্মাণে কাজ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই।

বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ ও ভারতের ৪০ শতাংশ ব্যয়ে নির্মিত এ বায়োপিকের শুটিং ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে শুরু হয়; আর শেষ হয় একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে।

সিনেমাটি আগামীকাল শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সারাদেশের ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটির পরিচালক ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।

শান্তনু মৈত্র ও জাহিদ আকবর

এ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। ফজিলাতুননেছা মুজিবের চরিত্রে আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, আর তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ।

এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ ও মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক অভিনয় শিল্পী।