অভিনেত্রী ও ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি শমী কায়সারকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে ভুক্তভোগী নিজেই গত ৯ অক্টোবর এই মামলা করেছিলেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেফতার হলেন এই অভিনেত্রী। শমী আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির নামে এক ব্যক্তি। তবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হত্যার এক মমলায়।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।
উল্লেখ্য, শমী ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শহীদুল্লাহ কায়সার ও মাতার নাম পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন। শমী কায়সার এবং রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।