রাতেও শ্যুটিং করতে হতো, খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল: চঞ্চল চৌধুরী

চলতি মাসের একদম শেষ দিকে মুক্তি পাচ্ছে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর ‘ফেউ’। সিরিজটির টিজার ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে পেয়েছে। সেখানকার একটি সংলাপে শোনা যায়, ‘ও সুনীল দা, ফেউ কারা?’ প্রত্যুত্তরাটা এমন—, ‘এজেন্ট। সরকারি গোয়েন্দা–গে এজেন্ট কয়।’

‘ফেউ’ সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় করেছেন সুনীল চরিত্রে। সুনীল একজন আলোকচিত্রী। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ‘ফেউ’-এ কাজ করা প্রসঙ্গে নানান অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন চঞ্চল। এক ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত এই সিরিজটি। সেই ঘটনাগুলোর অনেক তথ্য সুনীল তার ক্যামেরায় ধরে রাখেন বলে জানান অভিনেতা।

‘ফেউ’ এর শ্যুটিং হয়েছে সুন্দরবনে। সেখান থেকে শ্যুটিংয়ের নানান অভিজ্ঞতার কথাও জানান।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যখন শ্যুটিং করেছি তখন ছিল প্রচণ্ড ঠান্ডা। মাস খানেক সুন্দরবনে শ্যুটিং হয়েছে, যার মধ্যে আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠাণ্ডা লাগত। আমি শীতের জামা-কাপড় পরেই ঘুমাতাম। তবে ঠান্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির। আমাদের লঞ্চ যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখানে ছিল কুমিরটা। সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেই কুমির এবং আরও বিভিন্ন পশু-পাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শ্যুটিং স্পটে যেতাম ছোট ছোট ট্রলারে। রাতেও শ্যুটিং করতে হতো, খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল।’

২৯ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে সিরিজটি। এতে  চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও আরও থাকছেন তারিক আনাম খান, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস ও এ কে আজাদ সেতু।

১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ছায়া অবলম্বনে ‘ফেউ’ নির্মিত হলেও সিরিজটি ফিকশনাল। এর গল্প লিখেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান, রোমেল রহমান এবং চিত্রনাট্য করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান, সিদ্দিক আহমেদ। ইতিহাসের সঙ্গে নিজের দেখা চরিত্র, নিজের জানা ঘটনা, নিজের অঞ্চলের গল্প সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.