লং ডিস্টেন্স রিলেশনশীপ সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সবাই শুনেছি, জানি। এই ধরণের সম্পর্কে দূরত্বের কারণে মাঝে মাঝে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা, সন্দেহ, অনেকখানি ক্ষোভ। এ রকম এক লং ডিস্টেন্স রিলেশনশীপের গল্প নিয়েই শিহাব শাহীন নির্মাণ করেছেন চরকি অরিজিনাল সিনেমা ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’। প্রধান চরিত্রে আছেন প্রতীম হাসান ও তাসনিয়া ফারিণ।
ভিন্নধর্মী শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গত ৩ আগস্ট এক জমকালো অনুষ্ঠানে চরকি ঘোষণা দেয় ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ নামের একটি প্রজেক্ট। যেখানে ১২ জন জনপ্রিয় নির্মাতার ১২টি ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্ট এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছেন জনপ্রিয় পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি সিনেমাটি নিয়ে বলেন, ‘শিহাব শাহীন রোমান্টিক ঘরনার গল্প বলার ক্ষেত্রে বেশ পটু একজন। তার সুখ্যাতি আমরা সবাই জানি। আমি নিশ্চিত, এই কাজেও শিহাব ভাই প্রেমের সহজ অনুভূতিগুলো, দূরত্বের বেদনাদায়ক অনুভূতিগুলো, কাছে আসার আনন্দদায়ক অনুভূতিগুলো তুলে ধরতে পারবেন। এই সিনেমায় ফারিণ-প্রীতমের কাস্টিংটা দারুণ হয়েছে। আমি মুখিয়ে আছি কাজটি দেখার জন্য।’
শিহাব শাহীন বলেন, ‘জীবনে অসংখ্য প্রেমে গল্প বানিয়েছি। কিন্তু এবারের প্রেমের গল্প বলতে গিয়ে নতুন কিছু অনুভূতি হয়েছে। এইটা একদম নতুন গল্প। যদিও প্রতিটি কাজেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হয়।’
‘দূরত্ব ভালোবাসার ওপর কীভাবে স্ট্রেস দেয়, কীভাবে সম্পর্কের টানাপোড়ন তৈরি করে তা এই সিনেমায় থাকবে। যারা প্রবাসে থাকেন তারা এটা ভালো ধরতে পারবেন। এটা একটা স্পর্শের গল্প।’
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’-এর কিছু শুটিং হয়েছে বাংলাদেশে আর কিছু অংশ শুট হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশের বাইরে পুরো ইউনিট নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল জানিয়ে পরিচালক বলেন,
‘অস্ট্রেলিয়ার শুটে যারা জড়িত ছিল সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তারা ছাড়া কাজটি করা কঠিন হতো। আমরা রাজশাহীতেও কাজ করেছি। সেখানকার সবাইও ভালোবাসা-ভালোলাগা থেকে আমাদেরকে সাহায্য করেছেন। রাজশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার দুই জায়গাতে প্রেমের গল্প বলার মতো দারুণ জায়গা পেয়েছি।’
সিনেমার মূল চরিত্রে দেখা যাবে তাসনিয়া ফারিণকে। সদ্য বিবাহিত এই অভিনেত্রী জানান এই সিনেমার গল্পের সাথে নাকি তার জীবনের অনেকখানি মিল রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সিনেমার গল্প আমার জীবনের সাথে অনেকখানি মিলে যায়। আমার আর আমার হাসবেন্ডের লং ডিসটেন্স রিলেশন ছিল। তাই নিজের সঙ্গে কানেক্ট করে কাজ করতে ভালো হয়েছে। সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম শারমিন। সে অতীতের সম্পর্কে নিয়ে বেশ ঝামেলায় পরেছিল। তবে ফারহানের সঙ্গে মিট করার পর দারুণ কিছু হয়।’
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’- সিনেমার সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হলেন এমন প্রশ্নে প্রীতম হাসান বলেন, ‘শিহাব ভাই (পরিচালক) একদিন হঠাৎ ফোন দিয়ে জানালেন তার কাছে একটা গল্প আছে। তারপর ভাইয়ের সাথে বসে স্ক্রিপ্ট দেখার পর আমি শিওর হয়েছি আমি কাজটা করতে চাই। খুব সুন্দর স্টোরি লাইনের সিনেমা এটা।’
এই সিনেমায় নিজের চরিত্র নিয়ে প্রীতম বলেন, ‘আমি এখানে রুয়েটের একজন স্টুডেন্টের চরিত্র করেছি। একটা ট্রমাটিক ও হার্ডশিপ চাইলহুড নিয়ে বড় হয় ছেলেটি। সে বেশ রূক্ষ আর অনেক কিছু সম্পর্কে তার জানা নেই। তবে প্রথম বার প্রেম পরে অনেক কিছুই বদলে যেতে থাকে তার জীবনে।’