ঢালিউডে সম্প্রতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন নায়ক শাকিব খানের অস্ট্রেলিয়া-কাণ্ড। সহ-অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে বাদী হয়ে মামলা করেছেন শাকিব।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রসঙ্গ টেনে আমার হয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সিনেমাটি সম্পূর্ণ করা হবে কিনা, তা নিয়েও আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কাউকে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও জানান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই নারী। তার কথায়, ‘আমার ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার জন্য আমি কাউকে অনুমতি দিইনি। এমনকি এই প্রসঙ্গ নিয়ে যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা-ও আমি জানতাম না। ২০১৬ সালের অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন। কী করব, তা ভবিষ্যতে বিবেচনা করব। এখন আমি এসব নিয়ে ভাবছি না।’
বৃহস্পতিবার মামলার অভিযোগে শাকিব খান উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট সিনেমার শুটিং করতে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যান। এর পর জানতে পারেন ভিসা জটিলতায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এর শুটিং করতে অস্ট্রেলিয়া আসতে পারেননি নায়িকা শিবা আলী খান। তার জায়গায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এক নারীকে নায়িকা হিসেবে তার সঙ্গে অভিনয় করার জন্য অনুরোধ করেন রহমত উল্লাহ। নিজের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে তার সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন তিনি।
এর পর রহমত উল্লাহ তাকে ফাঁদে ফেলার জন্য এক গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি বাদীর (শাকিব খান) সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বাদীকে রিফ্রেশমেন্টের জন্য একটি নামিদামি ক্লাবে নেওয়ার প্রস্তাব করলে বাদী রাজি হয়ে যান। ক্লাবে খাওয়া-দাওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার পানীয় পান করেন বাদী। পথে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর ওই নারীর সহযোগিতায় শাকিব হোটেলে ফিরেন।