ভালোবাসার সেই দিনগুলোর গল্প শোনালেন অপু বিশ্বাস

২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন ঢালিউড অভিনেতা শাকিব খান ও অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। বিয়ের পর লুকিয়ে টানা আট বছর সংসার করেন তারা। তাদের কোলজুড়ে আসে আব্রাম খান জয়। এরপরই সব ওলটপালট হয়ে যায় তাদের জীবনের।

২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল হঠাৎ করেই পুত্র আব্রাম খান জয়কে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে আসেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। অভিনেত্রী জানান, তার এই সন্তানের বাবা চিত্রনায়ক শাকিব খান। এরপর এ বিয়ে নিয়ে বহু জলঘোলা হয়েছে। কারণ সন্তানের বিষয়টি গোপনই রাখতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্স দেন শাকিব।

দুজনেই নিজেদের জীবনে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছেন। ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এ তারকা জুটি। যদিও এসব ঘটনা এখন পুরোনো। তবু মাঝে মাঝে শাকিবের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো স্মরণ করেন অপু বিশ্বাস।

এইতো কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা ভাগ করে নেন চিত্রনায়িকা ও শাকিবের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস।

তিনি জানান, শাকিব খান নাকি তার সঙ্গে দেখা করতে কিছু না জানিয়েই ভারতের শিলিগুড়ি চলে এসেছিলেন!

সে ঘটনা তুলে ধরে অপু বলেন, ‘একদিন শাকিবের সহকর্মী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আপা আমরা চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার। আমি বললাম, মানে? তখন ভোরবেলা, আমি বিছানা থেকে যেন লাফিয়ে উঠলাম। সঙ্গে থাকা আমার মেজবোনকে বললাম, শাকিবের কাণ্ড। সে পুরোটা দাদাকে বললো। দাদাও ঘটনা জেনে লাফিয়ে উঠলো।’

তিনি বলেন, ‘শ্যুটিং ফাঁকি দিয়ে সারারাত বাসে চড়ে শাকিব এখানে এসেছে। এমন সময় যেদিন সকালেই তার শ্যুটিং, সব আর্টিস্টও রেডি। এমন অবস্থায় দাদাকে বললাম, তিনি সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি নিয়ে বর্ডার পর্যন্ত চলে গেল, সঙ্গে আমিও ছিলাম। এরপর দাদা তার জন্য শিলিগুড়িতে একটি হোটেল বুক করেন।’

অপু আরও বলেন, ‘শাকিব অনেক সহজ সরল মানুষ। আমাদের যেদিন বিয়ে হয়েছে সেদিনের একটা কথা এখনও কানে বাজে, শাকিব আমাকে হুট করেই বলেন- চলো বিয়ে করে ফেলি। আমি বললাম, বিয়ে করে ফেলব, কিভাবে সম্ভব! এর জবাবে তিনি বললেন, একজন স্বামী যেভাবে স্ত্রীকে ভালোবাসে, আমি ঠিক একজন স্বামীর জায়গা থেকেই তোমাকে ভালোবাসব।’

শাকিবের সঙ্গে প্রেম নিয়ে অপুর পরিবারের মত কেমন ছিল, সে বিষয়েও কথা বলেন নায়িকা। তার কথায়, ‘আসলে আমরা প্রেমটা খুব একটা করতেও পারিনি। মায়ের এত কমিটমেন্ট, এত প্রেসার ছিল! সেই জায়গা থেকে আমাদের বিয়েটাই খুব দ্রুত হয়ে গেছে। আমার মা প্রথম দিকে মানেননি। পরে মানতে হয়েছে। যেহেতু ওর ফ্যামিলির লোকেরাও অনেক ভালো।’

অপু বলেন, ‘আমার মায়ের ব্যাপারটা এমন ছিল, শাকিবকে দেখলে অনেক কিছু বলবে। কিন্তু যখন শাকিবকে দেখতেন, তখন মা পাগল হয়ে যেত। এটা নিয়ে ভাবতেন, কি খাওয়ানো যায়, বা কি করা যায়।’