‌‘শিল্পীরা চাইলে নির্বাচন করবো, তবে জায়েদের সঙ্গে আর না’

আবারও বাজছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ডামাডোল। আসছে ১ ফেব্রুয়ারি সমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেদিনই চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে এবারের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন।

এরই মধ্যে অভিনেতা মিশা সওদাগর জানালেন, শিল্পীরা চাইলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। সেই সঙ্গে জায়েদ খানের সঙ্গে প্যানেল না সাজানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই অভিনেতা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও অভিনেতা মিশা সওদাগর একসঙ্গে ছিলেন। শিল্পী সমিতির দায়িত্বে থেকে টানা ১৩ বছর কাজ করেছেন মিশা সওদাগর। এর মধ্যে অবশ্য টানা দুইবার ছিলেন সভাপতি।

আর তার প্যানেলের হয়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন জায়েদ খান। তবে এবার জায়েদের সঙ্গে প্যানেল না সাজানো প্রসঙ্গে মিশা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জায়েদ খান আমার ছোট ভাই। তার সঙ্গে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি চাই, নতুন নেতৃত্ব আসুক।

তিনি বলেন, আমি যদি নির্বাচন করি তাহলে নতুন কারো সঙ্গে করব। আমি সলিড লোক, সলিড কথা বলতেই পছন্দ করি। তাই বলব, জায়েদ খানের সঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা আমার নেই।

মিশা সওদাগর মনে করেন, জায়েদ খান এখন অনেক ব্যস্ত। তার হাতে এখন অনেক কাজ। তাই তার রেস্ট নেওয়া উচিত।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের মধ্যকার সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব এখনো সুরাহা হয়নি। এত দিন ধরে অবশ্য দায়িত্ব পালন করে এসেছেন নিপুণ আক্তারই।

শিল্পী সমিতি বর্তমান কমিটির কার্যক্রম নিয়ে মিশা সওদাগর বলেন, সমিতির বর্তমান কমিটি কী করেছে সে আলোচনা-সমালোচনাতে যেতে চাই না। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন আমার বড় ভাই আর নিপুণ আমার ছোট বোন। তাদের ছোট করতে চাই না।

তিনি বলেন, যা সম্ভব হয়েছে তারা তাদের মতো দায়িত্ব পালন করেছে। ভালো-খারাপ বলার মালিক সমিতির সদস্যরা। অনেকের সঙ্গে আমার কথাও হয়, সেই প্রেক্ষিতে বলছি, এর থেকে আরো বেটার পদক্ষেপ নেওয়ার অনেক জায়গা ছিল।