শিল্পীর গান গাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া এ কেমন স্বাধীনতা?

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবি নাজনীন। সংগীত জীবনের শুরু থেকেই অডিও মাধ্যম, বেতার, টেলিভিশন, সিনেমা ও দেশ-বিদেশের মঞ্চ মাতিয়েছেন সমান তালে।

তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে-‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘এলোমলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত’, ‘দু’চোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পরে’, ‘আজ পাশা খেলব রে শ্যাম’, ‘ও বন্ধু তুমি কই কই রে’ ইত্যাদি।

রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে দীর্ঘ দেশের কোথাও গান করতে পারেননি দাবি বেবি নাজনীনের। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অবশেষে দেশে ফিরেছেন এ শিল্পী।

ফিরেই সংগীত নিয়ে তার পরিকল্পনা জানিয়ে বেবি নাজনীন বলেন, ‘শিল্পীরা দলমতের ঊর্ধ্বে। তাদের কোনো দলীয় মোড়কে আটকে রাখা ঠিক নয়। এতদিন যেভাবে কালোতালিকা করে শিল্পীদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল, এমন সংস্কৃতি আর চাই না।

তিনি বলেন, বিশেষ কোনো দলের সমর্থক বলেই তাকে এড়িয়ে চলতে হবে কেন? শিল্পীর গান গাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া এ কেমন স্বাধীনতা? সবার অংশগ্রহণে আবারও নতুন করে সংগীতাঙ্গনকে ঢেলে সাজাব। আর কোনো শিল্পী যেন কোণঠাসা হয়ে না থাকে। আমাদের সামনে তৈরি হবে নতুন বাংলাদেশ।’

এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে বাইরে অবস্থান করলেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বেবি নাজনীন। গত জুন মাসে তাকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হিসাবে মনোনীত করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আধুনিক সংগীতের সর্বাধিক গানের অ্যালবামের শিল্পী তিনি।