শুভর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি একযোগে দেশের ১৫৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটির পরিচালক ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, আর তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ।


এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ ও মিশা সওদাগরসহ শতাধিক অভিনয় শিল্পী।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিন পর্দায় সিনেমাটি দেখার পরে ‘মুজিব’ চরিত্রে আরিফিন শুভর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি জানিয়েছেন এই অভিনেতা নিজেই। ‘মুজিব’ প্রদর্শনী শেষে আরিফিন শুভকে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, কীভাবে করেছ? কিভাবে করলা এত সুন্দর করে?

এই অভিনেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মেয়ে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মনে করেছেন আমি (মুজিব চরিত্রটি) তুলে ধরতে পেরেছি, আমি পেরেছি কি না সেটা ভাবার প্রয়োজন দেখি না। যার বাবার চরিত্র করেছি তার মনে হয়েছে আমি পেরেছি। যিনি তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, একজন কন্যার যদি তার বাবাকে নিয়ে মনে হয়, আমার বাবার চরিত্রে সুন্দর অভিনয় করেছে। উনি রীতিমতো আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে করেছ? কিভাবে করলা এত সুন্দর করে?’

আরিফিন শুভ আরও বলেন, ‘আমার তিন বছরের চেষ্টা এই সিনেমায় দেওয়া। মানুষ দেখুক সেটার জন্য অপেক্ষা, তারাই প্রতিক্রিয়া দিক। আমার নতুন করে কিছুই বলার নেই।’

এর আগে পর্দায় সিনেমাটি দেখার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একেবারে ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা এবং এই দেশের স্বাধীনতা অর্জন; এর ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। যেহেতু এটা জীবনীভিত্তিক, এখানে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আমরা জানতে পারবো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের যারা ছবিটির সঙ্গে যুক্ত, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ ধন্যবাদ শ্যাম বেনেগালকে, তিনি ছবিটি পরিচালনা করেছেন। আজকে তিনি উপস্থিত থাকলে খুব খুশি হতাম। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।’

দেশবাসীর প্রতি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই ছবিতে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু ও তার জীবন সম্পর্কে; সবচেয়ে বড় কথা আমার মা, দাদা-দাদিসহ পরিবারের কথা জানতে পারবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.