সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বেড়েছে দশমিক শূন্য ১ শতাংশ

এবারের বাজেটে সংস্কৃতি খাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দের হার মোট বাজেটের মাত্র শূন্য দশমকি ১০ শতাংশ।

এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বাজেট ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। সে সময় এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৯৯ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের দশমকি শূন্য ৯ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে এ বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

আগামী অর্থবছরের এই খাতে অর্থ বরাদ্দের মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

তবে সংস্কৃতিকর্মীদের দাবি, এই খাতের উন্নয়ন করতে হলে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন।

এ ছাড়াও যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার অধিকাংশ খরচ হয় অবকাঠামো ও বেতন-ভাতা পরিশোধে। ফলে সংস্কৃতিচর্চা ব্যাহত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এরপর স্পিকারের অনুমতি নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’ শিরোনামের বাজেট বক্তৃতার বাকি অংশ পঠিত বলে গণ্য হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। দেশের ৫৪তম এই বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশে সীমিত রাখার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.