বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৯ এপ্রিল। তবে আট দিন পিছিয়ে আগামী ২৭ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের এক মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়। এফডিসিতে যখন নির্বাচনের হাওয়া বইছে ঠিক তখনই নিজের সদস্য পদ হারিয়েছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ২ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সদস্য পদ হারানোয় ভোট দিতে পারবেন না তিনি। পুরো বিষয়টি নিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের ওপর বেশ চটেছেন জায়েদ খান। এককথায় নিপুণকে ধুয়ে দিয়েছেন তিনি।
সদস্যপদ বাতিলকে অবৈধ বলে প্রতিবাদ করে জায়েদ খান বলেন, আমি সমিতিকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করিনি। আমি ব্যক্তি নিপুণকে বলেছি। এখনো বলছি, তিনি একজন নির্লজ্জ মানুষ। পরাজিত হয়েও এত দিন সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে ছিলেন। এ কারণেই আমি তার বিরুদ্ধে বলেছি। এটি সমিতির গঠনতন্ত্রের মধ্যে পড়ে না।
জায়েদ খান বলেন, আমার সদস্যপদ বাতিলের জন্য মাত্র একটি চিঠি দিয়েছে সমিতি। সেটিও অবৈধ মনে করি। কারণ, চিঠিটিও নিপুণ স্বাক্ষরিত ছিল। যিনি নির্বাচিতই নয়, সে আমাকে চিঠি দিতে পারেন না। তাছাড়া, এই পদের মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে। তারপরও আমি চিঠির উত্তর দিয়েছি। আমার চিঠি পাওয়ার পর চূড়ান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে আরও দুটি চিঠি সমিতির আমাকে দিতে হবে। কিন্তু কোনো চিঠি দেয়নি।
এই অভিনেতা বলেন, শুনলাম… পিকনিকে ইসি কমিটির সিদ্ধান্তের লিখিত চিঠি পাঠ করেই আমার সদস্য বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু সেখানে সাধারণ সদস্যদের হাত তুলে মতামত লাগে। সেটিও তো দেখলাম না। বড় কথা, পিকনিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে এভাবে দ্বিবার্ষিক সভা করা আগে সমিতির কোনো কমিটির বেলায় দেখিনি। পুরো প্রক্রিয়াটিই অবৈধ।’
এর আগে পরপর দুইবার সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। শিল্পী সমিতির সদস্যপদই বাতিল, ভোটও প্রয়োগ করতে পারবে না। খারাপ লাগছে কি না— জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, খারাপ লাগার কিছু নেই। আমি সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়েও পদে বসতে পারিনি, এর চাইতে তো খারাপের কিছু হতে পারে না। অবৈধ ব্যক্তির অবৈধ সিদ্ধান্তে আমি বিচলিত নই।
শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯ নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, কোনরূপ সাংগঠনিক দূর্বলতা না পেয়ে জনাব জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিক ভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় গত ০২/০৪/২০২৩ তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব জায়েদ খানের এর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।