বোনদের নিয়ে সরিষা ক্ষেতে পরীর হৈচৈ

সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া।আর শীত মানেই দিগন্তবিস্তৃত সরিষা ক্ষেত। সবুজ আর হলুদে একাকার হয়ে উঠেছে বাংলার মাঠ, প্রান্তর। হলুদ সরিষা ফুলের সেই আভা উপভোগ করছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি।

পরী একাই নয়, হাজির হলেন দলবল নিয়ে। ছবির লোকেশন ট্যাগ দেখে জানা গেল বরিশালের কোন একটি স্থানে ছবিগুলো তুলেছেন পরী। আর সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন বোন। মুহূর্তের ‍দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে তার ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করতেও ভুল করেননি।

মুহূর্তের ‍দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে তার ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করতেও ভুল করছেন না।

ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ করে পরীমণি লিখেছেন, ‘এই ছবিগুলোর পেছনের গল্পটা অনেক অ্যাডভেঞ্চারাস (রোমাঞ্চকর) ছিল। গাড়িতে বাবুকে (পরীমণির ছেলে রাজ্য) ঘুমে রেখে একটা আননোন (অপরিচিত) মার্কেটে নাক মুখ চাদরে ঢেকে নেমে পড়লাম শাড়ি খুঁজতে। পাই না পাই না, পাই তো পছন্দ মতো হয় না, যাই হোক হলো। হতেই হতো আর কি! এবার পালা শাড়ির ব্লাউজ! ওহ সেকি কাণ্ড! সেটাও ম্যানেজ করে ফেললাম শেষমেষ।’

দিনের সময়টি ধরে রাখার কথা বলে পরীমণি লিখেছেন, ‘ওদিকে রোদ চলে যায় যায়। দুপুরের খাওয়া হয়নি তখনো। পেটে খিদে নিয়ে কি আর এমন সুন্দর মাঠে নেমে হিহি করা যায়। উড়ে এসে ঘরে ঢুকেই পেট ভরে হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খেলাম। তখন সূর্য গাছের নিচে! এর মধ্যে আমরা রেডি হয়ে মাঠে হিহি হাহা করতে করতে এত সুন্দর কিছু মুহূর্ত ধরে রাখতে পারলাম।’

আনন্দ উচ্ছ্বাসের মুহূর্তের কথা উল্লেখ করে পরীমণি লেখেন, মোট কথা হলো ‘ও পরী আপু চলো না সবাই এক রকম শাড়ি পরে সরিষার মাঠে ছবি তুলি।’

সবশেষে পরী লেখেন, ‘আর আমি এই মহাযজ্ঞটি ঘটিয়েছি দেড় ঘণ্টারও কম সময়ে। তোরা যখন আমার বয়সের হবি তখন আমার মতো করে তোদের ছোটদের সাথেও এমন সুন্দর কিছু মেমোরি জীবনে বাঁধাই করে রাখিস। এসব পাগলামি জীবনকে আনন্দে বাঁচায়। কাজিনস ফরএভার।’