বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের উপর অভিনয়শিল্পীদের হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিল্পী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর পরপরই মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জনের মতো সাংবাদিক আহত হন।
জানা গেছে, শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সাথে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। তা এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এসময়ে এফডিসিতে উপস্থিত সাংবাদিকরা কাছে এলে তাদের সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এই খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিষয়টি চরম ন্যাক্কারজনক বলে মনে করছেন। সবাই এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। যেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘটা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি লিখেছেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসাবে, আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এ বিষয়ে রিয়াজ বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের সেতুবন্ধন বা মেলবন্ধন তৈরি করে দেন। সেই সাংবাদিক ভাইদের এমন নির্মমভাবে এফডিসির অভ্যন্তরে পেটানো হয়েছে এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ঘটনার যেসব ছবি ও ভিডিও দেখেছি তাতে আমার খুবই খারাপ লেগেছ। এমনটা হতে পাবে আসলে হতে পারে না। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’’
জানা গেছে, এদিন শপথ গ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিঠুন আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন ময়ূরীর মেয়ের। এসময় অভিনেতা শিবা শানু এই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিসে থেকে বের করে দেন। এসময় কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে চান।
তখনই শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুরো এফডিসি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। মারামারিতে রক্তাক্ত হন কয়েকজন সাংবাদিক।