শুক্রবার ছিল রাজের জন্মদিন। রাত ১২টা ১ মিনিটে স্ত্রী পরীমনি ও তিন মাসের সন্তান রাজ্যকে নিয়ে বাসায় কেক কেটেছেন তিনি।
জন্মদিন পালনের পর সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ। তিনি বলেন, ‘বিয়ে, সন্তান— এসবের আগে আমি যখন একা ছিলাম, তখন আমার মতো করে আড্ডা মেরে, ফুর্তি করে জন্মদিন উদ্যাপন করেছি। কিন্তু এবার একেবারেই নিজের মতো করে আমরা তিনজন বাসায় জন্মদিনের কেট কেটেছি। বাইরের কাউকে রাখতে চাইনি। নিজের জন্মদিন নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছি। এমনকি জন্মদিনের কেক কাটার ছবিও তুলিনি আমরা।’
জন্মদিনের রাতে স্ত্রীর কাছ থেকে একটি উপহারও পেয়েছেন বলে জানান রাজ। তবে সেটি কী, তা প্রকাশ করেননি তিনি, বলেন ‘উপহার হিসেবে পরী যে জিনিসটি আমাকে দিয়েছে, তা পৃথিবীর কাউকে বলতে পারব না।’
জন্মদিনের পুরো দিনটিই পরিবারের তিনজন মিলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন রাজ। জানালেন পরিবার হওয়ার আগে একসময় ধানমন্ডি ১৫ নম্বর, রবীন্দ্রসরোবর, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা মেরে, গল্প করে সময় কেটেছে তার। জন্মদিনে তিনজন মিলে সেসব জায়গায় ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি একসময় যেসব জায়গা থেকে এ পর্যায়ে উঠে এসেছি, জায়গাগুলো আমার পরিবারের সদস্যদের দেখিয়েছি। কারণ আমি খুবই স্মৃতিকাতর মানুষ, আবেগপ্রবণ মানুষ।’
বউ ও সন্তানের সঙ্গে প্রথম জন্মদিনে দুঃখ করে রাজ বলেন, ‘আমার আর্থিক অবস্থাটা যদি আরও ভালো থাকত, তাহলে আমার সংসার, আমার স্ত্রী, সন্তানকে আরও বেশি সময় দিতে পারতাম, কেয়ার নিতে পারতাম। এখন আমাকে শুটিংয়ে যেতে হয়, কাজে যেতে হয়। এসবের ফাঁকে ফাঁকে পরিবারকে সময় দিতে হয়। আমি যদি পুরো সময়টাই পরিবারকে দিতে পারতাম, তাহলে আমার ভালো লাগত। এ কারণে দুর্ভাগ্যের কথা বললাম।’
রাজের স্ত্রী পরীমনির ফেসবুকে লেখা দুটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিদ্যা সিনহা মিম ঘোষণা দিয়েছেন রাজের সঙ্গে আর কাজ করবেন না। এ ব্যাপারে রাজ বলেন, ‘আমি এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। কারণ এ বিষয় নিয়ে আমি প্রশ্ন জন্ম দিই নাই, কাউকে কিছু বলি নাই। সংসার, পরিবার মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। সংসার সবার আগে। আমার বাবাকে দেখছি সংসারকে অগ্রাধিকার দিতে। সারাটা জীবন সংসারের জন্য কাজ করে গেছেন বাবা। আমার জীবনটাও এর বাইরে নয়।’
রাজ আরও বলেন, ‘অন্য কোনো কিছু নিয়ে আমার আক্ষেপ নাই। বাট এ কয়েক দিন ধরে যা যা হয়েছে, কেন হয়েছে, কী কারণে হয়েছে- এসবের উত্তর আমার কাছে নাই। যদি থাকত বলতে পারতাম, এই কারণে এসব হয়েছে। যেহেতু এসব ঘটনা আমার কাছ থেকে প্রকাশ হয় নাই, তাই এসব নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নাই।’
রাজের কথা- সিনেমার প্রচারে আজ মিমের হাত ধরেছি, কাল আরেক ছবিতে অন্য নায়িকার হাত ধরতে হতে পারে। সিনেমা করতে গেলে এটা থাকবেই। কারণ সিনেমা আমার কাজ, পেশা। সুতরাং এখানে এই হাত ধরাধরিটা সাধারণ ব্যাপার।
দুঃখ করে রাজ আরও বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে মানুষ আমাকে পাগল করে দিয়েছে। এর উত্তর চেয়েছে। কিন্তু আমি কারও ফোনই ধরিনি। ঘটনাটি সত্যি হলে উত্তর দিতাম। আমি পরীকে সম্মান করি, সংসারকে সম্মান করি। আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও পরিবার, সংসারকে সম্মান দিয়ে যাব।’