বর্তমান সময়ে ঢালিউডের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী আজমেরি হক বাধন । অভিনয় জীবনের সবচেয়ে ভালো সময় পার করছেন তিনি । মাস খানিক আগেই প্রশংসিত হয়েছে তার সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ । সিনেমার সাথে ভূয়সী প্রশংসাও পেয়েছেন স্বনামধন্য পরিচালকদের থেকেও ।
কান থেকে ফিরে এসে দর্শকদের দিয়েছেন আরেক দফা চমক । নাম লিখিয়েছেন বলিউডের অন্যতম গুনী পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের সিনেমায় । সবমিলিয়ে বসন্ত নেমে এসেছে বাধনের অভিনয় জীবনে । কিন্তু কতোটা বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে এতোদূর এসেছেন বাধন তা অনেকেরই অজানা । এক সময় হতাশা ও কষ্টে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। একমাত্র মেয়ের কথা ভেবে ফিরে এসেছেন বারবার । কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে আবারো গড়ে তুলেছেন । বাধনের পরিশ্রম বিফলে যায়নি । ফেরার মতন করে ফিরে এসেছেন । কাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দেশ-বিদেশ অভিনয়ের গুণে ।
কতোটা কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে আজকের বাধন হয়েছেন এই প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছিলাম। ২০০৫ সালের দিকে দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। এই ঘটনা নিয়ে পরে বিস্তারিত কথা বলব। ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার আমার জীবনের এমন একটা অংশ হয়ে আসে; যেটা না থাকলে আমি বাঁধন হয়তো আজকের অবস্থানে থাকতাম না। তারা আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। কলেজে আমি ফার্স্ট গার্ল ছিলাম। তা সত্ত্বেও আমার মেডিকেলের পড়ালেখায় আড়াই বছরের গ্যাপ হয়। পরবর্তীতে আমি পড়ালেখা শেষ করি। এসবের অনেক কিছুই মিডিয়ার কল্যাণে সম্ভব হয়েছে।আমার সবচেয়ে বড় অর্জন, আমার মেয়ে আমাকে হেরে যেতে দেখছে না। আমার আশপাশের নারীরা যারা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে চায়, অনেকেই বলেন, আপু আপনি যখন কিছু অর্জন করেন, মনে হয় আমরা অর্জন করছি, এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।’
বাধন অভিনীত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ১২নভেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হবে৷ এখন পর্যন্ত ১২টি হলে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে জানা গেছে।