বৈচিত্রময় সব চরিত্রে অভিনয় করে সবার মন জয় করে নেওয়া অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী মাত্র ৩৮ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই গুঞ্জন উঠেছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কিন্ত এ ব্যাপারে হাসপাতালের চিকিৎসক কিংবা পুলিশের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সহকর্মীদের ধারণা, এ ঘটনার সঙ্গে হিমির কথিত বন্ধু উরফি জিয়া জড়িত।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হিমুর সহকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে হিমির বাসায় তার বন্ধু উরফি জিয়া প্রবেশ করে। এরপর বিকেল ৫টার দিকে বন্ধু জিয়া ও মেকাপম্যান মিহির হিমিকে রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক অভিনেত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এদিন উরফি জিয়া; হিমুর বাসায় গেলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে রুম থেকে উরফি জিয়া বের হলে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন হিমু।
এদিকে হাসপাতালে উরফিকে আনার পর অভিনেত্রীকে মৃত ঘোষণা করা হলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান উরফি জিয়া। তবে মেক্যাপম্যান মিহির পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
টিভি নাটকের শিল্পীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের আইন ও কল্যাণ সম্পাদক অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর জানিয়েছেন, হিমুর গলায় দাগ দেখতে পেয়েছে চিকিৎসকরা। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন।
১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় হুমাইরা হিমুর জন্ম। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন।
২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে হুমায়রা হিমুর অভিষেক হয়। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল।