হুমায়ূনকে নিয়ে শাওনের আবেগঘন স্ট্যাটাস

হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবসে শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করলেন সাদা-কালো একটি ছবি। যা তোলা হয়েছে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। তখন হ‌ুমায়ূন যুক্তরাষ্ট্রের মেমোরিয়াল স্লোন কেটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

প্রথম কেমোথেরাপি চলাকালে তোলা সেই ছবিতে পরম্পরের দিকে তাকিয়ে আছেন হ‌ুমায়ূন ও শাওন।

অভিনেত্রী-নির্মাতা ক্যাপশনে লেখেন-

ক্লান্ত হৃদয় সরোবরে
হাজার নীলপদ্ম কান্নায় টলমল করে। 
তাহারাও গাঢ় স্বরে বলে-
“তার সাথে দেখা হবে কবে?”

২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। দিবসটিতে প্রয়াত কথাশিল্পীকে নানাভাবে স্মরণ করছে পরিবার ও ভক্তরা। গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গান, চলচ্চিত্র পরিচালনায়ও পাওয়া গেছে তাকে।

১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশ হয়। এরপর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কলম কখনো থামেনি।উপন্যাস ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে হিমু, মিসির আলী, শুভ্র ও বাকের ভাই তরুণ-তরুণীদের কাছে এখনো অনুকরণীয়। আলোচিত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া, লীলাবতী, বাদশাহ নামদার, ফেরা, অচিনপুর, কবি এবং মেঘ বলেছে যাবো যাবো।

হ‌ুমায়ূন পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা ও ঘেটুপুত্র কমলা। টিভি নাটকে তিনি যোগ করেন অন্যরকম মাত্রা। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন হ‌ুমায়ূন। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হ‌ুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার-সহ অসংখ্য স্বীকৃতি।