এবারের ঈদুল আজহায় অর্থাৎ ১৭ জুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ওয়েব কনটেন্ট ‘ফিমেল ফোর’।
মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওয়েব কন্টেন্টে রেকর্ড গড়েছে নাটকটি।
‘ফিমেল ফোর’-এ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক পলাশ, মারজুক রাসেল, শরাফ আহমেদ জীবন, পাভেল, শিমুল, সুমন পাটোয়ারি, শিবলু মৃধা, ইরেশ যাকের, নীলাঞ্জনা নীলা প্রমুখ।
ফিমেল ফোর- এর সাফল্যে প্রযোজক মুশফিকুর রহমান বলেন, মাত্র এক দিনের মাথায় ২ লাখেরও বেশি পেইড দর্শক এ কন্টেন্টটি দেখেছেন। সবচেয়ে ভালো লাগছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, ১০০টিরও বেশি দেশের দর্শক এটি উপভোগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ‘অসময়’-এর দ্বিগুণ এবং ‘হোটেল রিল্যাক্স’-এর চারগুণ টিভিওডি দর্শক এনেছে ‘ফিমেল ফোর’। তাই দর্শকদের ধন্যবাদ।
কাজল আরেফিন অমি বলেন, প্রতিবার কন্টেন্ট নেটদুনিয়ায় রিলিজ পাওয়ার সময় চিন্তিত থাকি। তবে এবার একটু বেশি চিন্তিত ছিলাম। তবে বিশ্বাস ছিল, ভালো কাজ দর্শক অবশ্যই পছন্দ করবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী বেশকিছু পণ্যের সঙ্গে কোকাকোলাও বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। কোকাকোলা বিরোধী এই প্রচারণা বন্ধের জন্য সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে দাবি করা হয়েছে, কোকাকোলা ইসরায়েলি পণ্য নয়।
সেই বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন ব্যাচেলর পয়েন্ট খ্যাত অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ। নতুন বিজ্ঞাপনে বিষয়টি নিয়ে বার্তা দিয়ে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দেয় কোকাকোলা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। সেই ঝড় সামলাতে না পেরে বিজ্ঞাপনটি কোকাকোলা তাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে নেয়।
তবুও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থামেনি। সামাজিক মাধ্যমে কোকাকোলার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের অভিনেতাদেরও বয়কটের ডাক উঠেছে। যার প্রভাব পড়েছে ব্যাচেলর পয়েন্ট খ্যাত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির উপরে।
কোকাকোলা বা বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট না থাকার পরেও তোপের মুখে পড়েছেন অমি। কারণ অভিনেতা শিমুল ও জীবন অমির বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করেছেন। এছাড়াও শিমুল কাজল আরেফিন অমির সহকারী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। যে কারণে অনেকেই এই অভিনেতাদের পাশাপাশি অমিকেও বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কাজল আরেফিন অমি বলেন, বিজ্ঞাপন নিয়ে যেই আলোচনা হচ্ছে, সেসব আমি দেখেছি। মানুষ আমাকে ভুল বুঝছে। নানা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। তবে আমি কিন্তু এই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে জড়িত নই।
অমি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বয়কটের ডাক তুলেছে। এর প্রভাব আমার কাজের উপরও পড়ছে। তবে আমি মনে করি, সকলের উচিত সেই বিজ্ঞাপন সংস্থার উদ্দেশে প্রতিক্রিয়া জানানো। যারা আমাকে পছন্দ করেন তারা জানেন- আমি মানুষের মূল্যবোধ, পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনায় রেখেই কাজ করি।’