চলতি সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে বিঞ্জ অরিজিনাল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একটি খোলা জানালা’। শর্ট ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ।
সময়ের অন্যতম দর্শকপ্রিয় এই নির্মাতার প্রতিটি কাজই অনন্য এবং দর্শক মনে ছুঁয়ে যায়। পুনর্জন্ম, রেডরাম, আরারাত, দ্য সাইলেন্স, আমি কি তুমি- এমনকি সাম্প্রতিক সময়ের তিথিডোর তারই উদাহরণ। প্রতিটি নাটকেরই গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ অত্যন্ত চমৎকার। একেকটি কাজকে ভিন্নতার নতুন শিখরে নিয়ে যান ভিকি।
সম্প্রতি প্রকাশ পায় শর্টফিল্মটির টিজার। কয়েক সেকেন্ডের ছোট টিজারটি ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। টিজারটির ক্যাপশন, ‘ঝড়বৃষ্টির রাতে অচেনা কে এই মানুষ?’
প্রথম দৃশ্যে দেখা যায়, প্রচন্ড ঝড়-বৃ্ষ্টির রাত। একটি পুরানো বাড়ির বাইরে বাজ পড়ার শব্দও শোনা যাচ্ছে। পরের দৃশ্যটি ঘরের ভেতরে। সেখানে কেউ একজন আরাম কেদারায় বসে দোল খাচ্ছে। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। দৃশ্য প্রথমে লোকটির পা ফোকাস করে ধারণ করা। ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকা দৃশ্য হাতে এসে থেমে যায়। তার পেছনে রহস্যে ঘেরা কিছু একটা পড়ে থাকতেও দেখা যায়। গায়ে হিম ধরে যায়, অস্পষ্ট সেই বস্তুটি দেখলে আবার আরাম কেদারায় বসে থাকা ব্যক্তি কেমন যেন স্বাভাবিক নন, তাও স্পষ্ট জানান দিয়ে ভয় বাড়িয়ে তোলে।
নির্মাতা ভিকি জাহেদ বলেন, ‘একটি খোলা জানালা’ ৫০ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি শর্টফিল্ম। এটি থ্রিলার এবং হরর মিশ্রণে নির্মিত একটি সিনেমা।
“গল্পটা দেশের বাইরের একটা গল্প৷ সেই গল্পকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এনে চিত্রানাট্য তৈরি করা। নারীকেন্দ্রিক চরিত্রের গল্প। এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ ও সালহা খানম নাদিয়া।”
ফারিণ ও নাদিয়া দুজনকেই নার্সের চরিত্রে দেখা যাবে জানিয়ে নির্মাতা বলেন, “এটা দুজন নার্সের গল্প। নারীকেন্দ্রিক গল্পে সবসময় যে রকম চ্যালেঞ্জিং চরিত্র তুলে ধরি এটাও তেমন। দুজনের জন্য ও চরিত্রটা ধারণ করা খুব কঠিন ছিল। এর আগে তারা এই ধরনের চরিত্র করেনি। ফারিণের সঙ্গে এটা আমার প্রথম ওটিটি কাজ।”
ফারিণ তারকা সংবাদকে বলেন, ‘সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার গল্প আমার ভালো লাগে। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্প শুনে খুব ভালো লেগেছে।’