অভিনেত্রী শমী কায়সারকে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ।
পর দিন অর্থাৎ বুধবার(৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারকে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন আদালতে শমী কায়সার বলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে শমী কায়সার আরও বলেন, আমি কোনো ধরনের অর্থ দেয়নি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা অন্যায়। আমি কখনো কাউকে নিয়ে কটাক্ষ করেনি।
শুনানি শেষে ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উত্তরা পূর্ব থানার করা মামলায় শমী কায়সারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জানা যায়, ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। শমী কায়সার এ মামলায় ২৪ নম্বর ও তাপস ৯ নম্বর এজহারনামীয় আসামি।