রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় লাশটি মডেল ও অভিনয়শিল্পী তাসনিয়া রহমানের। এই মডেলের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জান্নাতুল ফেরদৌসী।
তিনি জানান, শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি ৯/১ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাসনিয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিং করতেন তিনি।
জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ধানমন্ডির বাসার দ্বিতীয় তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তানজিম তাসনিয়া। তাদের আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। ভোরে তারই এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাটে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তসনিয়াকে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রের বরাতে পুলিশ বলছে, ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিম। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মডেল হিসেবে কাজ করতেন। খুব জেদি স্বভাবের ছিলেন তানজিম। কারও কথাই সহ্য করতে পারতেন না। তবে কী কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাসনিয়া। বিগত বছরে একাধিক প্রতারণার অভিযোগে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর ওই একই বছরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক জসীম আহমেদ।
সেসময় জসীমের আইনজীবী আল মামুন রাসেল বলেন, ‘জসীম আহমেদের সঙ্গে তাসনিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আর এই সম্পর্কের অব্যবহার করেছে তাসনিয়া। তার নামে মিথ্যা মামলাও করেছে সে। এ ছাড়া কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পরিচালক ও প্রযোজকের নামে নানা মিথ্যা জিনিস প্রকাশ করছে যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৯ ধারায় অপরাধ।’
প্রসঙ্গত, অভিনয়ে নতুন মুখ ছিলেন তাসনিয়া। কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও কাজ করতে দেখা গেছে। নির্মাতা অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ সিরিজের একটি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান এই মডেল।