বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করাসহ অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২০ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ফলে আপাতত ডিপজল এ পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। একইসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা তদন্তের জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি মনে করেন, চিত্রনায়িকা নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে। যে কারণে বারবার এমনটা করতে পারছেন তিনি।
ডিপজল বলেন, ‘আমি বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছেন এখানে কিছু বলার নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দুই এক দিনের মধ্যে আমারা চেম্বার জজ আদালতে যাব।’
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফুলের মালা দিয়ে নতুন কমিটিকে বরণ করে নেওয়ার একমাস পর আবার কমিটি বাতিল চাওয়ার পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মনে করেন ডিপজল। তার কথায়, ‘এটার পেছনে অবশ্যই বড় শক্তি আছে। যেহেতু দেশের বাইরে থেকে সে (নিপুণ) এসব করছে সেহেতু বুঝতে হবে তার পেছনের হাত লম্বা।’
এদিকে নিপুণের আচরণে কষ্ট পেয়েছেন সিনিয়র শিল্পীরাও। এমনটাই জানালেন ডিপজল। তিনি বলেন, ‘সোহেল রানা ভাইসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিল্পীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত। এই দুই বছরে যে নোংরামি হয়েছে এর আগে এমন নজির নেই। বাংলাদেশের ফিল্মের মানুষ এমনটা করতে পারেন না। আমার মনে হয়, যারা হিন্দি ছবি বাংলাদেশে আনার জন্য পায়তারা করছে এটা তারই একটা অংশ হতে পারে।’