২৫ বছর ধরে ঢাকাই সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন এই তারকা। গত দুই যুগ ধরে তিনিই সেরা নায়ক, টাকার অংকেও। পরিশ্রম, মেধা বা অভিনয় সবকিছু মিলিয়ে শাকিব খান এখন এক পরিপূর্ণ প্যাকেজ। বাংলা সিনেমার নতুনত্ব এসেছে তার হাত ধরেই। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
সেই শিকারি সিনেমার পর থেকে আজকের তুফান। প্রতিটা কাজেই যেন নিজেকে ছাপিয়ে গেছেন মেগাস্টার শাকিব খান। দেশের সিনেমা প্রেমীরা শাকিবকে দেখেছেন নতুন করে।
কয়েক বছর ধরেই শাকিব খানের সিনেমা দর্শক মাতিয়ে রাখছে। তবে সম্প্রতি সময়ে একের পর এক সাফল্যে সিনেমার পরিমাণ কমিয়ে আনছেন শাকিব খান। বছরে দুই থেকে তিনটির বেশি সিনেমায় কাজ করছেন না তিনি। ভালো গল্প এবং চরিত্র দেখেই কাজ করছেন এ অভিনেতা। তাই বেড়েছে তার পারিশ্রমিকও।
বিগত বছরগুলোতে প্রতি সিনেমায় ৪০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন শাকিব খান। তবে ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘প্রিয়তমা’য় প্রায় ১ কোটি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে চলতি বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘রাজকুমার’ সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য নায়কের পারিশ্রমিক ছিল ১ কোটি টাকা। সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ‘তুফান’ এর জন্যও কোটি টাকা নিয়েছেন এই নায়ক। কিন্তু এখন থেকে একটি সিনেমার জন্য তাকে দিতে হবে ২ কোটি টাকা।
মূলত ‘প্রিয়তমা’ ও ‘তুফান’ ব্লকব্লাস্টার হিটের সিনেমা তকমা পাওয়ায় কাজের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতে চান এই অভিনেতা। এ কারণেই পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন তিনি।
শাকিবের প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস সূত্রে জানা যায়, এ চিত্রনায়ক পরপর দুটি ব্লকবাস্টার সাফল্যের পর কাজে আরও বেশি মনোযোগী থাকতে চান। যেন পরবর্তী ছবিগুলোতেও সাফল্য আসে। এ জন্য চান বড় আয়োজন, বড় পরিসরে কাজ। এখন থেকে পরবর্তী সব সিনেমায় তিনি ২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেবেন।
এবারের ঈদুল আজহায় অর্থ্যাৎ গত ১৭ জুন মুক্তি পায় তুফান। আনকাট সেন্সর পাওয়া তুফানে শাকিব খান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। আছেন দুই নায়িকা ঢাকার মাসুমা রহমান নাবিলা ও কলকাতার মিমি চক্রবর্তী।
আরও আছেন ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, মিশা সওদাগর, সালাউদ্দিন লাভলু। ছবিতে শাকিব খান একজন গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেড।ডিজিটাল পার্টনার চরকি ও ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে আছে এসভিএফ।