ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো জয়ী হয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। মাত্র সাত মাসের মাথায় এমপির পদ থেকে ছিটকে যান তিনি। কারণ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে এরপর সংসদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরের পর সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপিরা দেশ ছাড়েন। একইসঙ্গে লাপাত্তা হয়ে যান সাবেক সাংসদ ও চিত্রনায়ক ফেরদৌসও।
ফেরদৌস কি দেশে আছেন, নাকি বাহিরের কোনো দেশে চলে গেছেন— তা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এক খবর।
যেখানে দাবি করা হয়- ফেরদৌস নাকি ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে পশ্চিমঙ্গে সেই নায়িকার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘আমার কানেও খবরটা এসেছে। আমাদের দুজনের এমন একটা ছবি দিয়ে খবরটা প্রচার করা হচ্ছে, যে ছবিটা কিছুদিন আগে একটা শোতে তোলা। ফেরদৌস তো আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, এটা তো সবাই জানেন। শেষবারও যখন ঢাকায় গেলাম, ওর বাসায় গিয়েছি। সেও কলকাতায় এলে আমার বাসায় আসে। আমাদের নিয়মিত যাতায়াত আছে। সত্যি কথা বলতে এই ঘটনার পর যোগাযোগ করতে পারিনি।’
ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ‘আমি জানিও না ফেরদৌস এখন কী অবস্থায় আছে। দেশ থেকে বেরিয়েছে কি না, তা–ও জানি না। শুধু এটুকুই চাইছি, ও যেন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে, সাবধানে থাকে। কারণ, মানুষ হিসেবে ফেরদৌস খুব ভালো। দেশে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কী হয়েছে, কিন্তু সে তো একজন ভালো মানুষ, চলচ্চিত্রের একজন বড় তারকা, একজন শিল্পী, অসাধারণ একটা সুন্দর মন আছে ওর। সত্যি বলতে, নির্বাচনের সময়ও ফেরদৌস আমাকে বলেছিল, আমি ভালো কাজ করতে চাই। মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে চাই। সে জন্যই নির্বাচন করতে এসেছিল। যাহোক আমি চাই ফেরদৌস যেখানেই থাকুক নিরাপদে এবং ভালো থাকুক।’
এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা বলেন, ‘হঠাৎ শুনি ফেরদৌস আমার ভারতের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে, এটা কেমন প্রোপাগান্ডা! এসব প্রোপাগান্ডা যারা ছড়াচ্ছে, তারা অবশ্য ছড়াবেই, তাদের মুখ তো বন্ধ করা যাবে না। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে আমার খুব ভালো একটা সম্পর্ক। ফেরদৌস আমার একজন ভালো বন্ধু, কিন্তু এ কথাটা তো একদমই এমন নয় যে, সে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আমার বাড়িতে গেছে! আমার মনেও হয় না, সে দেশ থেকে বেরিয়েছে, বের হলে আমরা তো জানতে পারতাম। বিষয়টা তো এমন নয় ফেরদৌস অপরিচিত মুখ। তার মতো মানুষ, দেশ থেকে বের হলে এমনিতে সবাই জানতে পারবে যে দেশ থেকে বেরোচ্ছে। আমার পরিষ্কার কথা, সে যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক, বাংলাদেশেরও সবাই ভালো থাকুক।’