খন্দকার সুমন পরিচালিত ছবি ‘সাঁতাও’।জলবায়ু, পরিবেশ, সর্বোপরি মাতৃত্বের গল্প বলে ছবিটি।
২০২৩ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলাদেশ প্যানরমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার ‘ফিফরিসি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিল ছবিটি। আলোচিত এ ছবিটি এবার দেখা যাবে টেলিভিশনের পর্দায়।
পরিচালক সুমন জানিয়েছেন রোববার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে ছবিটি দেখা যাবে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়।
সুমন বলেন, আমাদের ছবিটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশি শিল্পী ও কলাকুশলী নিয়ে নির্মিত। শুটিংয়ের আগে পরে এ ছবিতে বিদেশি কেউ কাজ করেনি। ফলে শতভাগ দেশি ছবি এটি। এর আগে সিনেমা হল, চলচ্চিত্র উৎসবসহ বিভিন্ন করা জায়গায় করা বিকল্প প্রদর্শনীতে দর্শকরা আগ্রহ নিয়ে ছবিটি দেখেছেন। তবে অনেকেই এখনও ছবিটি দেখতে পারেননি। কারণ আমরা সবার কাছে পৌঁছাতে পারিনি বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে। টিভিতে দেখানোতে এখন দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ ছবিটি দেখার সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা তার চলচ্চিত্রে নানান স্তরে নানান বিষয় সংহতি করে রাখেন। দর্শকগণ চলচ্চিত্রটি দেখে নিজ নিজ সামর্থ্য মত বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তা দিয়ে তার রসাস্বাদন করেন। ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রের ইমেজ পড়ে যখন কেউ এর ভিতরে স্পিরিচুয়ালিটি বা আধ্যাত্মিকতা খুঁজে পান জেনে, সত্যিই খুব আনন্দ লাগে।
কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সর্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্টির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় গল্প চলচ্চিত্রের পর্দায় হাজির করেছে চলচ্চিত্র “সাঁতাও’’।
চলচ্চিত্রটির কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন খন্দকার সুমন, সহকারি পরিচালক হিসাবে ছিলেন শ্যামল শিশির।
গণ-অর্থায়নে নির্মিত ‘সাঁতাও’-এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মো. সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মন্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মো. হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী।