‘চ্যানেলের কাটতির জন্য আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো অপরাধ’

সামাজিক মাধ্যমেও সবসময় বেশ সরব থাকেন নব্বইয়ের দশকের তারকা অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া। দর্শকের কাছে কেয়া নামেই পরিচিত তিনি। নিজেকে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ এনে বেশ চটলেন নায়িকা। ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানালেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।

কেয়ার অভিযোগ, তার নামে বেশকিছু ফেসবুক পেজ, ইউটিউব এবং অনলাইন পোর্টালে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হয়েছে। আর তাদের বিরুদ্ধেই আইনের পথে হাঁটবেন তিনি।

সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন কেয়া।

নায়িকা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমার দীর্ঘ ২৪ বছরের অভিনয় জীবন। কখনও কাউকে অশ্রদ্ধা করিনি, অহংকার করিনি, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিনি; অভিনয় ও পরিবার নিয়েই জীবনের ব্যস্ত সময় পার করেছি।

কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা গুজব ও রটনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় নানা ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

আমার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী আমার এই খারাপ সময়ে পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন, যার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

কেয়া লেখেন, ‘আমি ভেঙে পড়িনি, সিদ্ধান্ত নিই প্রতিবাদ করার। মিডিয়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করি।

কিছু কিছু মিডিয়াও এই সব অপপ্রচার বুঝতে পেরে তাদের পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপসংবাদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং সত্য সাংবাদিকতাকে সাধুবাদ জানাই।

কিন্তু এহেন অপপ্রচারের ফলে আমার ব্যক্তিগত ও অভিনয় জীবনে অর্জিত সুনামের অপূরণীয় সম্মানহানি ঘটেছে, ফলে ভবিষ্যতে সত্যতা যাচাই না করে ভিত্তিহীন কোন অপপ্রচারের শিকার হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলের বিরুদ্ধে আমি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।’

শেষে এই নায়িকা লেখেন, ‘আমি আমার পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি একজন নিয়মিত অভিনেত্রী হিসেবে আমার ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চাই। আশা করি, সবাই আমার পাশে থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা।’

দেশের একটি গণমাধ্যমে কেয়াকে নিয়ে করা একটি রিপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন কেয়া। তবে এখনও ফেসবুক পেজ, ইউটিউব কিংবা পোর্টালে কেয়াকে নিয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হচ্ছে বলে তার অভিযোগ। সেগুলো সরিয়ে না নিলে আইনিভাবে মোকাবেলা করবেন বলেও জানান এই নায়িকা।

পোস্টটি লেখার একদিন পর গণমাধ্যমে মুখ খোলেন কেয়া। বললেন, ‘যেটা আমি করিনি সেটা আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। পত্রিকা কিংবা চ্যানেলের কাটতির জন্য তো আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো অপরাধ। তাই আমি আইনি প্রক্রিয়ায় নিচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.