শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৭ দিনব্যাপী ‘যাত্রা উৎসব’

লোক ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ রূপায়ন যাত্রাপালা। ঐতিহ্য, চিন্তা, মূল্যবোধকে ধারণ করেই যাত্রাপালার বিস্তার। আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা যাত্রাপালা বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পণ স্বরুপ কাজ করে যাত্রাপালা।

জুলাই বিপ্লব উত্তর সময়ের বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম স্থবিরতা কাটিয়ে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই উৎসবে সমাজের সকল স্তরের শিল্প মাধ্যমের সরব উপস্থিতি প্রয়োজন।

‘যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’-এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় শুরু হতে যাচ্ছে ৭ (সাত) দিনব্যাপী ‘যাত্রা উৎসব ২০২৪’।

১ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকার সোহরাওয়ার্দীর উদ্যানের ‘মুক্ত মঞ্চ’-এ আয়োজিত এই উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিবন্ধিত ৭টি যাত্রা দল প্রতিদিন ১টি করে ‘ঐতিহাসিক ও সামাজিক’ ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা পরিবেশন করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পালা পরিবেশিত হবে।

৭ দিনব্যাপী যাত্রাপালা পরিবেশনায় থাকছে —

১. নভেম্বর (শুক্রবার) সুরুভী অপেরার যাত্রাপালা ‘নিহত গোলাপ’, পালাকার-আগন্তক, নির্দেশক- কবির খান।

২. নভেম্বর (শনিবার) নিউ শামীম নাট্য সংস্থার ‘আনার কলি’, পালাকার- প্রসাদ কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, নির্দেশক- শামীম খন্দকার।

৩. নভেম্বর (রোববার) বঙ্গবাণী অপেরার ‘মেঘে ঢাকা তারা’, পালাকার- রঞ্জন দেবনাথ, নির্দেশক- মানস কুমার।

৪. নভেম্বর (সোমবার) নর-নারায়ণ অপেরার ‘লালন ফকির’, পালাকার- দেবেন্দ্রনাথ, নির্দেশক- ব্রজেন কুমার বিশ্বাস।

৫. নভেম্বর (মঙ্গলবার) বন্ধু অপেরার ‘আপন দুলাল’, পালাকার- শামসুল হক, নির্দেশক- মনির হোসেন।

৬. নভেম্বর (বুধবার) শারমিন অপেরার ‘ফুলন দেবী’, পালাকার- পুর্নেন্দু রায়, নির্দেশক- শেখ রফিকুল।

৭. নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) যাত্রাবন্ধু অপেরার ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, পালাকার- শ্রী শচীন্দ্রনাথ সেন, নির্দেশক- আবুল হাশেম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.