প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ গুণী নির্মাতার দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমানকে গণভবনে ডেকে পাঠান।
এসময় শেখ হাসিনা আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তিনি প্রায় আধ ঘণ্টা তাদের কথা ধৈর্য ধরে তাদের কথা শুনেন। তিনি তাদেরকে বলেন, আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা দেশে বা বিদেশে যেখানেই করা হোক না কেন সমস্ত দায়িত্ব তার। এ বিষয়ে তাদের চিন্তা করার কিছু নেই।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল কর্মকর্তা এস এম খুরশিদ-উল-আলম সকালে সোহেল আরমানকে ফোন করে গণভবনে আসতে বলেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আমজাদ হোসেনের অসুস্থতার খবর জানতে পেরেছেন। তিনি তার পরিবারের সাথে দেখা করতে চান।
সোহেল আরমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আব্বুর পুরো চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞ তার এ মহানুবতায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এত ব্যস্ততার মধ্যে ৩০ মিনিটের অধিক সময় দিয়েছেন। তিনি আমাদের কথা ধৈর্য নিয়ে শুনেছেন, এই কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে রোববার সকালে আমজাদ হোসেনকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ডাঃ মহিউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আমজাদ হোসেন একাধারে একজন চলচ্চিত্র ও নাট্য নির্মাতা, কাহিনিকার, উপন্যাসিক, গীতিকার, অভিনেতা ও প্রযোজক। তিনি ১৯৬১ সালে হারানো দিন চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন।
তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) দিয়ে প্রশংসিত হন। গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কার এ ভূষিত করে। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।