সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা এবিএম সুমন বর্তমানে দুটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন— ইন্দুবালা ও কুয়াশা। তারকা সংবাদের সাথে সাম্প্রতিক এক আলাপচারিতায় জানালেন সিরিজগুলোতে কাজ করার কারণ ও অভিজ্ঞতা।
‘বছরখানেক আগে আমি ফেসবুক একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম বিদেশি একটি ওয়েব সিরিজ দেখে। বলেছিলাম, বাংলাদেশে এরকম সিরিজ বানানো শুরু হলে আমি কাজ করব। তাই বলতে পারেন এখানে কাজ করাটা হুট করে না’— বললেন সুমন।
তিনি আরও বলেন, ‘যে দুটি সিরিজে কাজ করেছি সেইম গল্পে কোন নাটক হলে আমি কাজ করতাম না। কারণ এখানে সেটে আমাদেরকে পরিচালক বারবার মনে করিয়ে দেন এটা কিন্তু নাটক না। মানুষকে টাকার বিনিময়ে এর প্রতিটা পর্ব দেখতে হবে। ১০-১২ পর্বের একটা সিরিজ দেখতে ৭০-৭২টাকা খরচ হয়, যা কিনা মফস্বলের হলে একটা সিনেমার টিকেটের সমান। যার কারণে সিরিজগুলো সিনেমা স্টাইলে নির্মাণ হচ্ছে।’
‘তাছাড়া এগুলোর দর্শক শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশেও। যার কারণে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য যা যা করা দরকার তার সবই রাখা হচ্ছে এবং দেওয়া হচ্ছে।’
তবে সিনেমার সাথে একটি পার্থক্যের কথা সুমন বললেন, ‘আমাদের দেশের ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সিস্টেমের কারণে একজন প্রযোজক ঠিকমত তার পুঁজি ফেরত পান না। এমনকি অনেকসময় হিসেবটাও পান না। এখানে প্রযোজক তার আয়ের সঠিক হিসেবটা পান। যার কারণে লগ্নিকারকদের বিনিয়োগ পুরোপুরি নিরাপদ।’
এবিএম সুমনের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দুবালা’। অন্যন্য মামুন পরিচালিত সিরিজটিতে তার চরিত্রের নাম ‘আবির’— পিতামাতাহীন এক এতিম ছেলে। প্রযোজনা সংস্থা লাইভ টেকনোলজিস তাকে ‘কুয়াশা’য় অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়।
কুয়াশায় তার চরিত্রের নাম মুরাদ। একটি সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের সদস্য। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালনায় তার বিপরীতে আছেন তিশা— রানি চরিত্রে।
‘প্রোডাকশন ফ্রেন্ডলি’ তিশা সম্পর্কে তার প্রথম মন্তব্য। সুমন আরও বলেন, ‘আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র একজন শিল্পী। আমি যে তার জুনিয়র তা কখনই তা অনুভব করতে দেননি। আমার মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন। খুবই অসাধারণ একজন মানুষ।’
‘কুয়াশা’য় খলনায়ক জামসেদ চরিত্রে থাকছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। এর চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন মারুফ রেহমান। চলতি বছরেই সিনেস্পট অরিজিনালে মুক্তি পাবে ওয়েব সিরিজটি।
‘ঢাকা অ্যাটাক’খ্যাত এবিএম সুমন ওয়েব সিরিজ ছাড়াও বর্তমানে কাজ করছেন বেশকিছু সিনেমায়।