গাজীপুরের পিরুজালীতে অবস্থিত নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নন্দিত সাহিত্যিক-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব ও তার স্ত্রী আফরোজা আমিন, বোন সুফিয়া হায়দার, রোকসানা আহমেদ, অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম, আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি, অভিনেতা সৈয়দ হাসান সোহেল প্রমুখ লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই আহসান হাবীব জানান, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পারিবারিকভাবে একটি মিউজিয়াম স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এরইমধ্যে একটি আর্কাইভ নির্মাণ করা হয়েছে। অনেকে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গবেষণা করছেন। এ আর্কাইভ গবেষণা কাজে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে তার অনেক স্বপ্নই বাস্তবায়িত হয়েছে। ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণসহ অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।’
তিনি প্রকাশক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি হুমায়ূন আহমেদের লেখাগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশের অনুরোধ করেন।
হিমু পরিবহনের সভাপতি আসলাম হোসেন জানান, সকালে নরসিংদী, গাজীপুর, ফরিদপুর ও ঢাকা থেকে হিমু পরিবহনের ৬০ জন সদস্য নুহাশ পল্লীর কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তারা একযোগে ৪০ জেলায় প্রিয় লেখকের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এরমধ্যে বৃক্ষরোপণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও বইমেলা রয়েছে। হিমুদের উদ্যোগে ইতোমধ্যে ১০ জেলায় পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, দিবসটি উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে নুহাশ পল্লীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে সকাল থেকে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিম শিশু ছাড়াও অতিথিদের খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
২০১২ সালের এই দিনে (১৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ূন আহমেদ।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি। তার ডাকনাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি।