জাতীয় নির্বাচনের সাসপেন্সও যেনো হার মানবে ৪২৮ভোটের এফডিসি’র নির্বাচনের কাছে । একদিন না পেরুতেই আবার এক প্রহসন নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ।
হাইকোর্ট চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দুই সদস্য ও নিপুণকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন জায়েদ খানকে দায়িত্ব পালনে কোনো রকম বিরক্ত না করেন। এ আদেশের ফলে রুল নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত জায়েদ খানই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকবেন।
প্রাথমিকভাবে জয়ী জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করে দেওয়া আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জায়েদের পক্ষে আইনজীবী জানান,’জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন বিজ্ঞ আদালত। নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদও স্থগিত করা হয়েছে। জায়েদ খানের করা আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।’
এর আগে শনিবার (সন্ধ্যায়) সোহানুর রহমান সোহান জানান, দুজন ভোটার লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, সাধারণ পদপ্রার্থী জায়েদ খান এবং সদস্য পদপ্রার্থী চুন্নু ভোট দেওয়ার জন্য তাদের নগদ অর্থ দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও কয়েকজন প্রার্থী মৌখিকভাবে তাদের অর্থ প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং ভিডিও ফুটেজে প্রতীয়মান হয়েছে যে, এই অর্থ দেওয়ার বিষয়টি সত্য।
এখন এতোটুকু স্পষ্ট যে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে প্রহসনের জল আরো অনেক দূর গড়াবে । সিনেমাপ্রেমীদের এই প্রহসন দেখে যাওয়া ছাড়া আর করার কিছু নেই ।