মাত্র ১১টি সিনেমাহলে মুক্তি পাওয়া পরাণ এতোটাই দর্শকপ্রিয়তা পেতে থাকে যে, চতুর্থ সপ্তাহে এসে হলসংখ্যা ৬০-এ দাঁড়ায়। পঞ্চম সপ্তাহে এসেও কোনো কোনো হলে হাউসফুল যাচ্ছে। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে দেড় ডজন ছবিতে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। এদের মধ্যে কয়েকটি ছবি প্রশংসিত হয়েছে।কিন্তু গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ ছবির অনন্যা চরিত্রকে আলাদা করেই রাখবেন মিম।অথচ শুরুর দিকে মন খারাপ করে থাকতেন মিম।
মূলত ‘পরাণ’-এ মিমের চরিত্র অনন্যার নেতিবাচক দিকগুলো ক্ষুব্ধ হতেন দর্শকরা। তারা রীতিমতো গালমন্দ করতেন। হলের কোণায় আঁধারে বসে সেসব গালাগাল শুনে কষ্ট পেতেন মিম। পরে বুঝলেন, দর্শকদের এই গালাগাল মূলত তার সার্থকতা। তার অভিনয়ের দক্ষতার সাক্ষর।
এ বিষয়ে মিম বলেন, ‘অন্ধকারে এক কোনো দাঁড়িয়ে শো দেখতাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখতাম। দর্শক গালমন্দ করতেন। খুব খারাপ লাগত। বাসায় ফিরেও মন খারাপ থাকত। টিমের সবাই বোঝাতেন, একজন অভিনেতার এটাই সার্থকতা। পরে বুঝলাম, চরিত্রটিই তো এমন। তার মানে আমি চরিত্রটিতে অভিনয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ নিংড়ে দিতে পেরেছি বলেই দর্শক এমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।’
মিম জানালেন, গত ১৪ বছরে দেড় ডজন ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। এরপরও ‘পরাণ’র অনন্যার মতো দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দিতে পারেননি সে সব ছবির চরিত্র দিয়ে।
মিম বলেন, ‘এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অনেক ছবিই করেছি। কিন্তু সেভাবে আলোচনা হয়নি। আফসোস ছিল। চলচ্চিত্রে নতুন করে আস্থা পেয়েছি।’