রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই জঙ্গি হামলায় নিহত হন ফারাজ আইয়াজ হোসেন। বন্ধুদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দেন তিনি।
অথচ হলি আর্টিজান বেকারির সেই ঘটনাটা অন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে পর্দায় তুলে এনেছেন দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ‘শনিবার বিকেল’ শিরোনামের এই সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে প্রায় চার বছর ধরে।
সোমবার (০৯ জানুয়ারি) ‘ফারাজ’ মুক্তির তারিখ ঘোষণার পর সামাজিকমাধ্যমে অপেক্ষা আর হতাশার কথা তুলে ধরেন ফারুকী। একইভাবে মঙ্গলবার এক স্ট্যাটাসে হতাশার কথা তুলে ধরেন সিনেমার অভিনেত্রী ও ফারুকীর স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
ফারুকী লেখেন, প্রিয় বাংলাদেশ। প্রিয় তথ্য মন্ত্রণালয়। গুলশানের হোলি আর্টিজান নিয়ে নির্মিত ভারতীয় সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পাচ্ছে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ। আর এই বঙ্গদেশের এক অধম ফিল্মমেকার ওই ঘটনার অনুপ্রেরণা নিয়ে ‘শনিবার বিকেল’ বানিয়ে আজকে চার বছর সেন্সরে আটকা।
তিনি আরো লেখেন, আমাদের সিনেমা আর্টিজানের ঘটনা পুনঃনির্মাণ করে নাই, এমনকি ওই ক্যাফের ভেতরের কোনো চরিত্র পুনঃনির্মাণও করে নাই! তারপরও এই সাজা পাওয়ার একমাত্র কারণ কি এই দেশের নাগরিক হওয়া?
সবশেষে ফারুকীর ভাষ্য, ধন্যবাদ সব কিছুর জন্য। ইতিহাস নিষ্ঠুর। সে সব কিছু মনে রাখে।
‘শনিবার বিকেল’-এ অভিনয় করা নুসরাত ইমরোজ তিশা তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ভারতে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে মুক্তি পাচ্ছে ‘ফারাজ’ নামের একটা সিনেমা। যেটা হোলি আর্টিজান নিয়ে বানানো। চার বছর আগে একই ঘটনা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা একটা সিনেমা বানিয়েছি ‘শনিবার বিকেল’ নামে, যেটা আমাদের সেন্সর বোর্ড এখনো আটকে রেখেছে।
হতাশা প্রকাশ করে তিশা লেখেন, আমাদের চার বছর পর বানানো ‘ফারাজ’ আমাদের আগে মানুষ দেখবে- কি অবিশ্বাস্য না?
সেন্সর বোর্ড ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়ে তিশা আরো লেখেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে জোর দাবি জানাই, ‘ফারাজ’ মুক্তির আগেই আমাদের নিজেদের সিনেমা শনিবার ‘শনিবার বিকেল’র মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ইয়াদ হুরানিসহ অনেকে।