শিডিউল দিয়ে ঠিকঠাক শুটিং না করা, চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিকে কাজ না করা─ শাকিব খানের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ আগে অনেক শোনা যেত। তবে মাঝে দিয়ে এধরনের অভিযোগ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনিও ঠিকঠাক শুটিং করছিলেন। সবশেষ ‘প্রিয়তমা’ তো টানা শিডিউল দিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে শেষ করে দিয়েছেন। ফলাফল ছবি সুপারহিট। হবে তার বিরুদ্ধে নতুন করে পুরাতন অভিযোগ আসলো।
অভিযোগটি করেছেন তারই দুঃসময়ের বন্ধু পরিচালক বদিউল আলম খোকন। শাকিব খানকে নিয়ে তিনি ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’, ‘নিঃশ্বাস আমার তুমি’, ‘ভালোবেসে মরতে পারি’, ‘একবার বলো ভালোবাসি’, ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’, ‘বস নম্বর ওয়ান’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘নিষ্পাপ মুন্না’, ‘ডন নম্বর ওয়ান’, ‘হিরো; দা সুপারস্টার’, ‘রাজা বাবু’সহ প্রায় দুডজন সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন। বলা যায় শাকিব ক্যারিয়ারে আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে যে কয়জনের অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে খোকন শীর্ষে থাকবেন। সে খোকনের সঙ্গেই কিনা শাকিব কথা রাখলেন না!
কথা ছিলো খোকনের পরিচালনায় শাকিব ‘নীল দরিয়া’য় অভিনয় করবেন। চুক্তি করিয়েছিলেন ৪০ লাখ টাকায়। সে অনুযায়ী শাকিবকে পারিশ্রমিক অগ্রিম দিয়েছিলেন প্রযোজক। কিন্তু শাকিব দাবি করছেন এখন তাকে ১ কোটি টাকা দিতে হবে, না হলে তিনি ছবিটি করবেন না। আর এ নিয়ে দ্বন্দ্বে শাকিব ৪০ লাখ টাকা ফেরতও দিয়েছেন।
গণমাধ্যমে বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘পারিশ্রমিক হিসেবে নেওয়া ৪০ লাখ টাকা ইতোমধ্যেই প্রযোজককে ফেরত দিয়েছেন শাকিব খান। আগের নির্ধারণ করা পারিশ্রমিকে এখন আর কাজ করতে চাচ্ছেন না তিনি। তাকে নিয়ে এখন কাজ করতে হলে মোট এক কোটি টাকা দিতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা দিতে পারছি না। তাই কাজটি আর হচ্ছে না।’
আক্ষেপের সুরে পরিচালক আরও বলেন, ‘বর্তমানে নতুন কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হতে এক কোটি বা দুই কোটি টাকা নিতেই পারেন শাকিব খান। এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমরা তো তাকে আগের পারিশ্রমিকেই সিনেমার জন্য চূড়ান্ত করেছিলাম। এখন তিনি আমাদের কাছে এটা দাবি করতে পারেন না। তার নৈতিকতার মধ্যে এটি পড়ে না। কমিটমেন্ট ঠিক না থাকলে তো হবে না। এটা ভীষণ অন্যায়।’
তিনি এ প্রশ্নও করেন শাকিবের উদ্দেশ্যে, ‘যদি ‘প্রিয়তমা’ হিট না হতো তাহলে কি তাকে দেওয়া ৪০ লাখ থেকে ২০ লাখ প্রযোজককে ফেরত দিতেন শাকিব?’