চলচ্চিত্র ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বারবার আলোচনায় এসেছেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনি। তিনি এখন ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকটাই ব্যস্ত। তার হাতে রয়েছে কলকাতায় নির্মিত হতে যাওয়া ‘খেলা হবে’ নামের একটি সিনেমার কাজ। এছাড়াও দেশে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে এ অভিনেত্রীর সদ্য শেষ করা চলচ্চিত্র ‘ডোডোর গল্প’। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই সিনেমা পরিচালনা করেছেন রেজা ঘটক।
সম্প্রতি কলকাতার প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাকে একটি ভিডিও সাক্ষাতকার দিয়েছেন তিনি। সেখানে তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গে উঠে আসে।
তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তার মধ্যে খুব বেশি খামখেয়ালি আছে কিনা বা তাকে কি ধরা যায় না? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি খামখেয়ালি নই। আর ধরা যায় না, ব্যাপারটা একদমই এ রকম না। আমাকে খুব সহজেই ধরা যায়, পাওয়া যায়। কিন্তু আমাকে বুঝে কাজ করাটা হয়তো একটু মুশকিল হয়ে যায়। যারা মুডি তাদের থেকে আমি দূরে থাকি। খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি যারা আমার সাথে মিলেমিশে কাজ করে। আমি একদমই মুডি না। আমি কাজকেই প্রাধান্য দিতে চাই। আমার কাছে ব্যক্তিগত এবং কাজের সম্পর্ক আলাদা।’
একপর্যায়ে উঠে আসে প্রাক্তন স্বামী শরীফুল রাজের প্রসঙ্গও। উপস্থাপিকার প্রশ্ন—‘কিছুদিন আগে তোকে দেখেছিলাম কী বিমর্ষ ছিলি, যখন ছেলে অসুস্থ হয়ে কলকাতায় ভর্তি ছিল। তখন শরীফুল রাজ পদ্মের নাম নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিল। বিষয়গুলো আসলে তোর কেমন লাগে?’
এমন প্রশ্নের উত্তরে খুব মজার ছলে পরীমনি বললেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস ছিল আমার বাচ্চার জন্য এবং আমার জন্য। কারণ এই স্ট্যাটাসটা না দিলে তো আমার বাচ্চা ভালোই হতো না। আমরা খুব উপকৃত হয়েছিলাম।’
এই কথা টেনে পরী আরও বলেন, ‘এটা খুবই ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু আমার মনে হয় এটা সবার জানা উচিত। যে ওন (ধারণ) করে না কিন্তু আমার বাচ্চা বলে বেড়ায় আমি তো তাকে ছাড় দেব না। যারা মা তারা নিশ্চয় বুঝতে পারবেন আমি কোন জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি। কখনও কোনো ফেইক সম্পর্ক বা ফেইক ইমোশনকে বাচ্চার ইস্যু করে কিছু বলতে পারবেন না। সেই জায়গা থেকে বলছি, ও এখন পর্যন্ত আমার বাচ্চার একটা খোঁজখবর নেয়নি। আমার বাচ্চার খোঁজখবর ও কেন নেবে? এটা তো আমার বাচ্চা। আমার বাচ্চার খোঁজখবর ও দায়িত্ব প্রথম থেকে আমিই নিয়েছি এবং আমারই থাকবে। এটার জন্য আর কাউকে দরকার নেই। আমি আর কারও নামই উচ্চারণ করতে চাই না। এই নামটার সঙ্গে এখন আর আমার কোনো রাগ, ক্ষোভ, অভিমান ছাড়া কিছুই নেই। ভালোবাসা, সম্মান তো দূরের কথা, কিছুই নেই। যে মানুষটা আমার বাচ্চার বাবা তাকে আমি কোনোভাবেই অসম্মানিত করতে চাই না। কিন্তু যতটুকু অসম্মান তার প্রাপ্য সেটুকু আমি করব, সেটা থেকে তাকে বাঁচাতে পারব না। সেই অসম্মানটা পুরো দুনিয়া না, আমি তাকে করব। কারণ সে সেটা ডিজার্ভ করে।’
নতুন করে প্রেম আসছে কিনা—এমন প্রশ্ন করা হলে পরী বললেন, ‘আমার জীবনে আর কখনও প্রেম আসবে না, তা আমি লিখে দিতে পারি। এখন আমার জীবনে কোনো উটকো ঝামেলা নেই। কেন শুটিংয়ে দেরি হলো? শুটিংয়ে কী কী কাজ করেছি, কাজের ফাঁকে কী করেছি, এসব জবাব দেওয়ার কোনো ঝট ঝামেলা পোহাতে হয় না। তবে আমার পিওর প্রেম হলো আমার ছেলে। আমার জীবনে যেমন ও ছাড়া কেউ নেই, তেমনি ওর ও আমি ছাড়া কেউ নেই। আমরা এখন ভীষণ ভালো আছি।’