শনিবার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আলোচিত ইস্যু কলকাতার শিল্পী কোয়েল মল্লিকের এ দেশের সিনেমায় অভিনয়ের খবর। অধিকাংশের মতামত- শাকিব খানের সাথে ‘বিদ্রোহী’সহ বেশকিছু সিনেমায় কাজের কথার মত এটিও গুজবে পরিণত হবে।
সবাই যখন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে তখন তারকা সংবাদ কথা বলে ‘ক্রাইসিস’-এর পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাদা ইসলামের সাথে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলছেন কোয়েল মল্লিক তার সিনেমায় কাজ করবেন।
শাহজাদা বলেন, ‘কোয়েল মল্লিককে আমরা চুক্তিবদ্ধ করিয়েছি। বর্তমানে তার সাথে শিডিউল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তার শিডিউল লক হলে আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্স করব। আর আমার মনে হয়, কোয়েল মল্লিককে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করলে সব ক্লিয়ার হবে। কারও কোন কনফিউশন থাকবে না।’
আপনি যদি তাকে চুক্তিবদ্ধ করিয়েই থাকেন তাহলে কোন ছবি প্রকাশ করছেন না কেন? ‘আসলে আমি পুরো বিষয়টাই গোপন রাখতে চেয়েছিলাম। শুটিং শেষ করে তবেই সবাইকে জানাতে চেয়েছিলাম।’
কোয়েলের সাথে কলকাতায় বেশ কয়েকবার সরাসরি মিটিং হয়েছে পরিচালকের। এছাড়া তার সাথে বর্তমানে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে বলেও জানালেন শাহজাদা।
কলকাতার এ নায়িকার আগে দেশি দুজন নায়িকার সাথে কথা বলেছিলেন তিনি। তাদের অপেশাদারিত্ব ও অসহযোগিতার কারণে বিদেশি নায়িকা নেওয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে একজন নতুন পরিচালকের কাজ করা অনেক কষ্টের। অনেকেই তাকে বিশ্বাস করতেই পারে না সে এরকম একটা প্রজেক্ট বানাতে পারবে।’
কোয়েল মল্লিকের সাথে থাকতে পারেন আরফান নিশো অথবা চঞ্চল চৌধুরী। তবে আরফান নিশোর সাথে কথা বেশি এগিয়ে বলে জানালেন পরিচালক। আনুষ্ঠানিক চুক্তি হলেই বলবেন চূড়ান্তভাবে কে থাকছেন।
‘ক্রাইসিস’ সম্পূর্ণ বাংলাদেশি একটি সিনেমা, বললেন শাহজাদা। এতে এ দেশের মানুষের বর্তমান সময়ের নানা সংকট উঠে আসবে। পাঁচটি চরিত্র সঙ্কটের আবর্তে ঘুরপাক খাওয়ার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।
শুটিং পুরোটাই বাংলাদেশে হবে। শাহজাদা বলেন, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের যেসব লোকেশন এখনো কেউ সিনেমায় দেখিনি সেগুলো দেখানোর চেষ্টা করব। এছাড়া বরিশালেও শুট করব। ঢাকায় পাচ-দশ শতাংশ শুটিংয়ের ইচ্ছে আছে। আবার নাও করতে পারি।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিল্ম এন্ড মিডিয়ায় গ্রাজুয়েশন করা মোহাম্মদ শাহজাদা ইসলাম এর আগে বিজ্ঞাপনচিত্র, প্রামান্যচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণ করেছেন।