প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খান।
মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর অভিযোগে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে শাকিব খান নিজেই মামলাটি করেন।
কিন্তু তদন্তে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর কোনো আলামত পাননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলায় যে দুটি ইউআরএল থেকে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে কোনো মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এ কারণে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর (৬৩) বিরুদ্ধে শাকিব খানের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৪/২৫/২৯ ধারার অপরাধের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তবে ওই প্রতিবেদনে শাকিব খান সন্তুষ্ট নয় বলে আদালতে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। ওই প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে আদালতে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে শাকিব খানের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২৪ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সর্বশেষ গত ১০ জুলাই মামলার তারিখ ধার্য ছিল। এ দিন মামলার প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় শাকিব খানের আইনজীবী খাইরুল হাসান প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১৩ আগস্ট নারাজি দাখিলের দিন ধার্য করেন।