দীপংকর দীপন— গেল সপ্তাহে ঘোষণা দিলেন ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর আর বৃহস্পতিবার মহরত করলেন ‘ঢাকা ২০৪০’র।
নামের কারণে এটিকে অনেকে সায়েন্স ফিকশন মনে করলেও পরিচালক তা নাকচ করে দিয়েছেন। মহরত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটি ভবিষ্যতের ঢাকার গল্প, তবে সায়েন্স ফিকশন নয়। সহজ ভাষায় বললে এটি ড্রামা জনরার গল্প। আমরা ড্রামা খুব বানাই এ উপমহাদেশে। সে হিসেবে এ গল্পে এখনকার মত আবেগ, ভালোবাসা সব থাকবে। জাস্ট বিষয়গুলো ঘটবে ২০৪০ সালে।’
এটির পান্ডুলিপি তৈরির আগে সরকারের ঘোষিত ‘ভিশন ২০৪১’-এর পুরোটা ভালো করে পড়েছেন পরিচালক ও তার টিম। তবে নামকরণে ২০৪১ বা ’৪২ না হয়ে কেন ২০৪০ হলো তার রহস্য জানতে অপেক্ষা করতে হবে সিনেমা মুক্তি পর্যন্ত।
‘ঢাকা ২০৪০’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়ার সাথে থাকচ্ছেন বাপ্পী চৌধুরী। একটি বিশেষ চরিত্রে এবিএম সুমন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় সিনেমাটির মহরত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহরতের উদ্বোধন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, চলচ্চিত্রটির নির্মাতা দীপংকর দীপন, বাপ্পি চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া, প্রযোজক সনেট কুমার সাহা প্রমুখ।
সিনেমাটিতে যুক্ত হওয়া নিয়ে বাপ্পী বলেন, “আমার সাথে দাদার (দীপংকর দীপন) পরিচয় হয় ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তির পর। ছবিটির সফলতায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলাম যদি সুযোগ থাকে আমি তার সাথে একটা কাজ করতে চাই। যার ফলশ্রুতিতে গত ৪-৫ মাস আগে তিনি আমাকে এ ছবিতে কাস্ট করেন।”
বাপ্পী আরো বলেন, ‘আমি ছবির জন্য নানাভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। নুসরাত ফারিয়ার জিমে অনেক আগ থেকেই ঘাম ঝরিয়েছি। দাদা (পরিচালক) আমাকে বলেছিলেন আমাকে চিকন হতে হবে। আমি তা হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
দুই নুসরাত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিশার আমি ছোটবেলা থেকেই ফ্যান, ও যখন বিটিভিতে কাজ করতো। আর ফারিয়া আর আমার তো একই ঘর (জাজ) থেকে জন্ম। তাই তাদের দুজনের সাথে কাজ করা নিয়ে আমি খুব একসাইটেড।’
নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘৮-৯ মাস আগে দীপন দা আমাকে গল্পটা শুনিয়েছিল। শুনেই আমার ভালো লেগেছিল। এখন সেটা পর্দায় ফুটিয়ে তোলার পালা।’ ফারিয়া অভিনীত চরিত্রের নাম জারা। একজন গবেষক।
তিশাও সিনেমাটির প্রস্তাব পেয়েছেন ৮-৯ মাস আগে। তিনি বলেন, ‘দাদার (পরিচালক) সাথে আমার অন্য আরেকটা ছবি করার কথা ছিল। কিন্তু আমার শিডিউল সমস্যার কারণে তখন কাজটা করা হয়নি। ভাল কাহিনি নিয়ে কাজটা হচ্ছে। আশা করছি সবার কাজটা ভালো লাগবে।’
এবিএম সুমন জানালেন, তিনি দুদিন আগে সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। দীপংকর দীপনের উপর বিশ্বাস থেকে তিনি ডাকার সাথে সাথে হ্যাঁ বলে দিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দীপঙ্কর দীপনের প্রথম ছবি ঢাকা অ্যাটাক আমি সপরিবারে দেখেছি। চলচ্চিত্রের দুঃসময়ে বড় ভূমিকা রেখেছে চলচ্চিত্রটি। তার এই নতুন ছবির ভাবনাটিও ভীষণ ভালো লেগেছে। সিনেমাটির নাম দেয়া ঢাকা ২০৪০। মানে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ এর আগের বছর। সেইরকম উন্নত এক নগরী ফুটে উঠবে সেটাই প্রত্যাশা করি।’
পরিচালক জানালেন, সিনেমাটিতে প্রচুর ভিএফএক্সের কাজ থাকবে। এর দায়িত্বে থাকবে ভারতীয় একটি টিম। প্রথমে ভবিষ্যত দৃশ্যগুলোর শুটিং হবে। এরপর দুমাসের একটা বিরতি দিয়ে শিল্পীদের লুক পরিবর্তন করে বাকি দৃশ্যের শুটিং হবে।
সিনেমাটির কাহিনি লিখেছেন দীপংকর দীপন ও হাবিব রহমান। চিত্রনাট্য করেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু। সংলাপ লিখেছেন আসাদ জামান, দীপংকর দীপন ও জিয়াউর রহমান বিদ্যুৎ। স্টুডিও এইট এন্টারটেইনমেন্টসের প্রযোজনায় নির্মিতব্য সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে ২৪ জুন থেকে।