বিয়ের এক যুগ পর সন্তান গ্রহণ করেছেন তিশা-ফারুকী। পুত্রসন্তানের নাম রেখেছেন ইলহাম নুসরাত ফারুকী । আর মা হওয়ার সময় কতোটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা জানালেন ফারুকী । মা হওয়ার জন্য বলিউডের সিনেমার কাজ ছেড়ে তিশা ।
ফারুকী জানান, মা হওয়ার জন্য তিশা বলিউডের সিনেমার কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। হিন্দি সিনেমার গুণী নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুফিয়া’ সিনেমার জন্য তিশার কাছে প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন অভিনেত্রী। ফারুকী বলেন, ‘তিশা স্কুল জীবন থেকে কাজ করছে। আগাগোড়া কাজ অন্তপ্রাণ একজন মানুষ কিভাবে এই বিষয়টাকে ডিল করে সেটা নিয়ে আমি ভাবতেছিলাম। কিন্তু তিশার যে কোনো সিদ্ধান্ত যেহেতু ও স্বাধীনভাবেই নেয়, আমি ওর সাথে এটা নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলছিলাম না। আমি দেখলাম ও বেশ শান্তভাবে দ্বিতীয় দিন কাস্টিং ডিরেক্টরকে বুঝিয়ে বলে যে, সে কাজটা করতে পারছে না। কারণ এই মুহূর্তে ও কোথাও মুভ করতে চাচ্ছে না। এই মুহুর্তে সে একটু নিরিবিলি থাকতে চায়, কারণ সে কনসিভ করেছে। কোনো রকম দোটান ছাড়াই ও ছেড়ে দেয় ওই সুযোগটা।’
মা হওয়ার আগে তিশা, সঙ্গে ফারুকী ওটা ছিল তিশার ত্যাগের সূচনা। এরপর আরও অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়েছে মা হওয়ার জন্য। সেসবের বর্ণনা দিয়ে ফারুকী লেখেন, ‘ওই যে শুরু, তারপর দেখে আসছি একের পর এক তিশাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে ঘুম, পছন্দের খাওয়া, নিজের জন্য রাখা সময়। আমি মোটামুটি চেষ্টা করি সব সময়ই তিশার পাশে থাকতে, এক সাথে ইলহামকে বড় করতে। তবুও সবসময় আমি ভুমিকা রাখার সুযোগ পাই না। কারণ তিশা কিছু কাজের ব্যাপারে এতোই স্পর্শকাতর যে আমার হাতেও ছাড়তে রাজি না। ডায়পার পরানো, বা অন্যান্য কাজ আমার হাতে মাঝে মধ্যে ছাড়লেও গোসল করানোটা আমার হাতে ছাড়তে চায় না। তবুও আমি লেগেই থাকি। চেষ্টা করি যতখানি সম্ভব দায়িত্ব ভাগ করে নিতে।’
কিন্তু বাবা হিসেবে কোনো পুরুষই মায়ের সমান মানসিক চাপ নিতে পারবে না বলে মনে করেন ফারুকী। তার ভাষ্য, ‘একজন মাকে সন্তানের জন্য যা যা করতে হয়, যা যা জীবন থেকে ছাড়তে হয়, বাবারা চব্বিশ ঘন্টা সময় দিলেও মায়ের যে স্ট্রেস, যে কন্ট্রিবিউশন তার ধারে কাছেও যাইতে পারবে না।’