কাজী আনোয়ার হোসেনের অনবদ্য সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে। এর মধ্যে বিদেশের মাটিতে দেড় শতাধিক সিনেমা হলে ছবিটি চলবে। যা কোনো বাংলাদেশি ছবির জন্য রেকর্ড।
ছবিটির উত্তর আমেরিকা পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর চেয়ারম্যান সজীব সপ্তক খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “ছবিটি এক যোগে ১৫১টি সিনেমা হলে চলবে। এর আগে আমরা কখনো ১০০ থিয়েটারের বেঞ্চমার্ক ছুঁতে পারিনি। সবচেয়ে বেশি কাছে গিয়েছিল ‘পাপ পুণ্য’, ৯১ থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এরপরের স্থান ‘হাওয়া’র। সেটি ৮৮টি থিয়েটারে চলেছে।”
তিনি জানান, এ বড় আকারের মুক্তি মাল্টিপ্লেক্স চেইন রিগ্যালের কোনো হল নেই। অনিবার্য কারণবশত তারা এ সপ্তাহে ছবিটি চালাতে পারছে না। তবে তারা বলছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে হলে ‘এমআর-৯’ চালাতে পারবে। সেক্ষেত্রে সিনেমা হলের সংখ্যা আরও বাড়বে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টমিডিয়ার দাবি, ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ ছবিটি তৈরি হয়েছে। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী আবদুল আজিজ জানান, ‘এমআর–৯: ডু অর ডাই’র ইংরেজি ভার্সন সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। এটি দেশের সবগুলো সিনেপ্লেক্সে ২৫ আগস্ট থেকে চলবে। বাংলা ডাবিং করা অংশ যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেন্সর পায়, তবে এ সপ্তাহে সিঙ্গেল স্ক্রিনেও চলবে। নইলে পরের সপ্তাহ থেকে চলবে।
‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউড নির্মাতা আসিফ আকবর। ছবিতে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের মধ্যে অভিনয় করেছেন ফ্র্যাঙ্ক গ্রিলো, বলিউড অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান, হলিউড অভিনেতা নিকো ফস্টার, বলিউড অভিনেতা ওমি বৈদ্য, হলিউড অভিনেতা ওলেগ প্রুডিয়াস ও আমেরিকান মডেল-অভিনেত্রী জ্যাকি সিগেল প্রমুখ। আরও আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম, আলিশা।
ছবিটিতে জাজ ছাড়াও বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস ও আল ব্রাভো ফিল্মস। নির্মাতা আসিফের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ।