প্রচণ্ড জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে ১২ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এখনও হাসপাতালেই আছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন ছেলে রাজ্য। টানা ছয় দিন ধরে হাসপাতালে শুয়ে থাকার উপলদ্ধির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন পরীমণি।
তিনি লিখেন, ‘সুস্থ থাকার মতো বড় নেয়ামত আর কিছু নাই। তবে মাঝে মধ্যে ছোট খাটো অসুখ বা বিপদ না আসলে জীবনের আসল শুভাকাঙ্ক্ষী বা কাছের মানুষ চিনতে পারবেন না। একটা সময় অনেকের মতো আমারও মনে হইতো কারোর কাছে আমার কোনো এক্সপেক্টেশন নাই বা সেটা রাখার দরকারও নাই।’
‘‘এক্সপেক্টেশন যত কম জীবন তত সুন্দর’’ বিশ্বাস করেন এই কথাটা একটা বেহুদা কথা। আপনার আত্মীয় স্বজনদের আপনি নিশ্চয়ই আপনার খারাপ সময়ে পাশে চাইবেন। অন্তত কেমন আছো জিজ্ঞেস করুক এতটুকুই অনেক কিছু মিন করে কখনো কখনো জীবনে।’
কেন তিনি এই কথা লিখেছেন তা রহস্যের সৃষ্টি করেছে ।নেটনাগরিকেদের ধারনা এই সময় কাছের মানুষদের কাছে না পাওয়ার বেদনা তিনি তুলে ধরেছেন।
তবে যারা পাশে ছিল তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি পরীমণি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্টাফদের যত্ন,ভালোবাসা,আন্তরিকতার কাছে ঋণী। এরাই আমার পরিবার।’
পাশাপাশি নিজের কথাও বললেন। তুলে ধরলেন তিনি নিজে কেমন। তিনি বলেন, ‘আমি মোটেও সেলফিস ধরনের মানুষ না। তবে গত দুই এক বছর যাবত আমি ‘‘যে যেমন আমি তেমন’’ লোক হওয়ার চেষ্টা করতেছি। এই চেষ্টায় এবারের দৌড়টা বেশ লম্বাই হইলো বলা যায়। জীবনে আজাইরা, ফাও এবং সুবিধাবাদীদের যত ঝেড়ে ফেলা যায় জীবন কেবল মাত্র তখনই সুন্দর।’
দুই বছর পর শুটিংয়ে ফেরা সুখকর হয়নি এই অভিনেত্রীর। টানা শুটিংয়ের কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য শেষ করতে পারেননি শুটিংয়ের শিডিউল।