কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন দেশের দুই অভিনয়শিল্পী। যাদের একজন ফেরদৌস আহমেদ এবং অন্যজন জিয়াউল রোশান।
অভিনেতা ফেরদৌস অনেক আগে থেকেই অভিনয় করে আসছেন কলকাতায়। ওপারের সিনেমায় এর আগেও একবার অভিনয় করেছেন রোশান।
সিনেমার নাম মীর জাফর চ্যাপ্টার টু। রানা সরকার প্রযোজিত সিনেমাটির পরিচালক অর্কদীপ মল্লিকা নাথ।
সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সৌরভ দাস, সোহিনী সেনগুপ্ত, সুব্রত দত্ত, বুলবুলি পাঁজা।
কলকাতার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চিত্রটাই উঠে আসবে সিনেমায়। গরু পাচার, চাল পাচারের মতো আলোচিত সংবাদগুলোই রুপান্তরিত হয়েছে সিনেমার চিত্রনাট্যে।
সিনেমার সঙ্গে মীরজাফরদের নামের যোগসূত্র জানতে চাইলে পরিচালক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মুর্শিদাবাদের ছেলে। ছোট থেকে ওখানে গরু পাচার, চাল পাচারসহ নানা দুর্নীতি দেখে এসেছি। বর্ডার এলাকায় কত কাণ্ড হয়; কলকাতায় বসে সেগুলো জানতেও পারিনা। গ্রামের রাজনীতির ছবিটা এখানে তুলে ধরতে চাই।
‘মুর্শিদাবাদকে মানুষ সিরাজের (নবাব সিরাজউদ্দৌলা) চেয়ে মীরজাফরের নামেই বেশি মনে রেখেছে। মীরজাফরের মতো লোকেরাই জিতে যায় কিনা; আমার গল্পটাও অনেকটা সেরকম’।
সঙ্গে আবার চ্যাপ্টার টু কেন? মীরজাফরের মূল কাহিনিকে নির্মাতারা ধরে নিচ্ছে প্রথম পর্ব হিসেবে। এখনকার মীরজাফরদের কাহিনি তাই দ্বিতীয় পর্ব বা চ্যাপ্টার টু বলে জানান অর্কদীপ।
সিনেমায় মীর চরিত্রে সৌরভ দাস, জাফরের চরিত্রে রোশান, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা রিফিউজি চরিত্রে শ্রাবন্তী, মুর্শিদাবাদের গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা।
শুধু রাজনীতি নয়, প্রিয়াঙ্কা-সৌরভের চরিত্রের মধ্যে থাকছে প্রেমও। অনেক দিন পরে কলকাতার বাংলা সিনেমায় দেখা যাবে ফিরদৌসকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করার জন্য বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা। তার পর প্রথম কোনো কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।