শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলে চলে গেলেন সংগঠনটির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও দুপুরের দিকে এফডিসিতে প্রবেশ করেন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। ভোট দিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে বাইরে আসেন তিনি।
এসময় দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কাউকে সাড়া না দিয়ে এফডিসি থেকে বেরিয়ে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। এমনকি কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
‘এভাবে প্রশাসনের পাহারায় নির্বাচন কখনও দেখিনি’
চলছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন, যা বললেন সভাপতি প্রার্থী কলি
নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে কড়া নিরাপত্তা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না ফেরদৌস-মৌসুমী
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে লড়ছেন কোন পদে
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
শিল্পী সমিতির সবশেষ কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নিপুণ আক্তার। শুরু থেকেই আলোচনায় পাশাপাশি কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদকে অনেক বেশি সমালোচনাও মোকাবিলা করতে হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নানা কোন্দলের কারণে কমিটির নির্বাচিত ২১ জন সদস্যকে দুই বছরের মধ্যে একটি সভায়ও পাওয়া যায়নি। নির্বাচিত একাধিক সদস্যের সদস্যপদও প্রত্যাহার করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ভোট প্রদান শেষে ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতিক্রিয়া জানতে চায় গণমাধ্যম। তবে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া না দিয়ে গাড়িতে উঠে যান।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে এ ভোটগ্রহণ।
২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয় জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো— মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।
দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।