নয় দফা দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। শুধু তাই নয় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন ‘যতদিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে আছে, আমি ততদিন তাদের সঙ্গে থাকবো’।
‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’ নামের একটি সংগঠন বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটার, গণমাধ্যমসহ দৃশ্যমাধ্যমের বিভিন্ন শাখার শিল্পী ও কর্মীরা।
‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নূরুল আলম আতিক, আকরাম খান, পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, সৈয়দ আহমেদ শাওকি, ওয়াহিদ তারেক, রেদওয়ান রনি, আমিরুল রাজিব, শঙ্খ দাশগুপ্ত, হুমাইরা বিলকিস, তানিম নূর, জাহিন ফারুক আমিন, তানভীর আহসান, ইয়াছির আল হক, নাসিক আমিন, ধ্রুব হাসান, অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাধন, নুসরাত ইমরোজ তিশা, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণ, আলোকচিত্রী মুনেম ওয়াসিফ, তাসলিমা আকতার লিমা, শিল্পী ঋতু সাত্তার, তানজিম ওয়াহাব, কণ্ঠশিল্পী শিবু কুমার শীল প্রমুখ। ফার্মগেটের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তাদের অনেকে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ শিল্পীরা। সমাবেশে উপস্থিত বাঁধন বলেন, ‘যে অন্যায়, অবিচার, নিপীড়ন করা হয়েছে বা করা হচ্ছে এখনো, যেভাবে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যেভাবে গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, একটি গণতান্ত্রিক দেশে সেই দৃশ্য দেখার পর কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যদি বাড়িতে বসে থাকতে পারে, তাহলে আমার বলার কিছু নেই। কারণ আমার একটি ১২ বছরের সন্তান আছে। আমি নিজে এ দেশের নাগরিক। আমার বিদেশি কোনো পাসপোর্ট নেই। আমি এই দেশেই থাকবো এবং এই দেশটি আমার। এই দেশটি আমরাই সংস্কার করবো।’
চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যেদিন থেকে এই ঘটনাগুলো শুরু হয়েছে, যেদিন থেকে গুলি চলেছে, সেদিন থেকে আমি দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। কারণ ওই শিশুগুলোর মধ্যে আমার সন্তান থাকতে পারতো। ওই মানুষগুলোর মধ্যে আমি, আপনি থাকতে পারতাম।’ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনার তদন্ত দাবি করে অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। আমি এসব অন্যায়ের সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক। এর প্রকাশ্য-প্রয়োগ আমরা দেখতে চাই।’