সালমানের সঙ্গে মৌসুমীর পরিচয় নিয়ে ভিন্ন কথা বলেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। তিনি জানান, সিনেমার শুটিং থেকে ফিরে নিয়মিত মায়ের কাছে গল্প করতেন সালমান। একবার মৌসুমীকে শুটিংয়ের সময় কোলে নিতে গিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন, সেই গল্পও শুনিয়েছিলেন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি মৌসুমীকে নিয়ে তেমন কোনো গল্প থাকত না।
নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর একবার মৌসুমী এসেছিল আমাদের বাসায়। তখনই প্রথম মৌসুমীকে দেখি। এর আগে সিনেমার শুটিংয়ের সময়ও সালমানের মুখে মৌসুমীর কথা তেমন শুনিনি। সেই মৌসুমী এখন বলছে, ইমন তার বাল্যবন্ধু ছিল। খুলনায় তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছে। এটা কবে, কীভাবে আমি জানি না।’
সালমানের মা জানান, মৌসুমী প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলে, খুলনায় সে ইমনের সঙ্গে পড়াশোনা করেছে। তাদের বয়সের ব্যবধান তো ছয় থেকে সাত বছরের বেশি। তা ছাড়া তিনি সে সময় কখনোই মৌসুমী নামের কাউকে চিনতেন না।
নীলা চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছেলে তো খুলনায় কোনো স্কুলে পড়েনি। তখন ইমনের বয়স সাড়ে পাঁচ বছর হবে। ওর বাবার পোস্টিং ছিল সেখানে। আমরা ওকে অনেক দিন পর্যন্ত বাড়িতেই পড়িয়েছি। অনেক বই তার মুখস্থ ছিল।
আমার ছেলেকে সবাই পছন্দ করত, সে ভালো গান করত, তাকে দুই-এক দিন হয়তো কোনো স্কুলে শিক্ষকদের অনুরোধে নিয়ে গিয়েছি, এই যা।
আমাদের বাড়িতে অনেকেই তখন আসতেন। সবাইকে তো চেনা সম্ভব নয়। কিন্তু সালমানের কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল, সেটা আমি মা, আমি ভালো জানি।’
হয়তো খুলনায় থাকার সময় সালমান ও মৌসুমীর মধ্যে পরিচয় থাকতে পারে, সেই পরিচয়ে পরে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে?
এ কথার উত্তরে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট বেতারে আমার ছেলে চার বছর বয়সে ‘প্রজাপতি প্রজাপতি’ গানটি গেয়েছিল। সেখানে আরও অনেক গুণী শিল্পী ছিলেন। এখন এসব শিল্পী কি বলবেন, তারা সালমানের সঙ্গে গান গেয়েছেন? বন্ধুত্ব আর পরিচয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’