সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু হলেও চলছে পুরনো নিয়মেই

চলচ্চিত্রকর্মী ও নির্মাতা-প্রযোজকদের দীর্ঘদিনের দাবি সেন্সর বোর্ডের সংস্কার ও গ্রেডেশন চালু। আপাতত সেন্সর বোর্ড বাতিল করে সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু করা হয়েছে। নতুন বোর্ড ইতোমধ্যে ছবি দেখা শুরু করেছে। তবে কোনো ছবিকে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।

বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. মঈনউদ্দীন জানান, নতুন বোর্ড গঠনের পর তারা প্রতিদিনই এক-দুটি করে ছবি দেখছেন। তবে এখনও কোন ছবিকে ছাড়পত্র দেননি।

‘ভয়াল’ নামক একটি ছবিকে প্রাপ্তবয়স্ক ক্যাটাগরিতে সেন্সর সার্টিফিকেট দিচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

মো. মঈনউদ্দিন বলেন, ‘সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড আইন ২০২৩ অনুযায়ী নতুন বোর্ড গঠিত হয়েছে। তবে এ বোর্ড কীভাবে কাজ করবে তার কোনো বিধিমালা এখনও তৈরি হয়নি। এ বিধিমালার খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে। এ নিয়ে বিভিন্ন আলাপ আলোচনা চলছে। তাই বিধিমালার আগে কোন ছবিকে গ্রেডেশন করা হবে না।’

তিনি জানান, আপাতত তারা যে ছবিগুলো দেখছেন সেগুলোকে আগের নিয়মে সার্টিফিকেট দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন। তবে এটিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।

এ ব্যাপারে বোর্ড সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খান বলেন, গ্রেডেশনের জন্য যে বিধিমালা দরকার তা তৈরি হবার আগে তো বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যেমন নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পী, কলাকুশলী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বসবে সরকার। সবার মতামত নিয়েই না চূড়ান্ত বিধিমালা তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, সার্টিফিকেশন বোর্ড আইনও কিছুটা সংশোধন দরকার। সবমিলিয়ে বিধিমালা, গ্রেডেশন সবকিছুর জন্য সময় লাগবে কয়েক মাসের মত। তবে এটা যত দ্রুত সম্ভব এটা নিয়ে বোর্ড আইন মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা চাই সুন্দর একটা বিধিমালা চলচ্চিত্রের মানুষদের উপহার দিতে।

খিজির হায়াত জানান, বিপ্লব হায়দায়ের ‘ভয়াল’ ছবিটিকে আগের নিয়মে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ছবিটি সম্পর্কে বোর্ডের আরেক সদস্য চলচ্চিত্র প্রযোজক জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘এতে প্রাপ্তবয়স্ক সংলাপ, শয্যাদৃশ্য, প্রেগন্যান্সিসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।’

আগের নিয়মে হলে তো এ ধরনের বেশিরভাগ বিষয় কর্তন বা সংশোধনের মুখে পড়ার কথা। এ বিষয়ে খিজির হায়াত খান বলেন, “যেহেতু ছবিটিকে গ্রেডেশন দিতে পারছি না, সেহেতু একটি ‘অবজারবেশন’ দিব। একে ঠিক কর্তন না বলে আমাদের পরামর্শ বলতে পারেন। আর তা আহমারী কঠিন কিছুও হবে না, যা ছবিটির পরিচালক-প্রযোজকের মানতে কষ্ট হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published.